ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আদর্শ’ বদলে ফেললো জামায়াতে ইসলামী

জাতীয় ডেস্ক রির্পোটঃ

জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত তিন মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকে দলীয় আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের এই তিন মূলনীতিকে আদর্শ ঘোষণার আগে ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠাই ছিল দলটির একমাত্র আদর্শ।
মঙ্গলবার জামায়াতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিদ্যমান পরিবেশ পরিস্থিতিসহ আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দলটি তার রাজনৈতিক চিন্তার পুনর্গঠন করেছে।
এখন দলটি বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের তিন মূলনীতি ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ‘কল্যাণধর্মী সমাজ’ বিনির্মাণের জন্য কাজ করছে। এজন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে দলটি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অখণ্ডতার নীতি অবলম্বন করে জামায়াত। এ জন্য ব্যাপক সমালোচিত দলটি। পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করার দাবি করে দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রথমে দালালির এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
জামায়াত নেতারা পাকিস্তানের অখণ্ডতার নীতির কথা স্বীকার করলেও কোনও ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। কিন্তু দুর্বল রাজনৈতিক কৌশলের কারণে দলটির বক্তব্য যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
এদিকে সোমবার জামায়াতের নতুন আমীর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে দেয়া বক্তৃতায় স্বাধীনতার মূলনীতিগুলোকে দলীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণের কথা জানান মকবুল আহমাদ।

জামায়াতের নতুন আমীর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল জনগণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অকৃত্রিম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

‘আদর্শ’ বদলে ফেললো জামায়াতে ইসলামী

আপডেট সময় ০২:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৬
জাতীয় ডেস্ক রির্পোটঃ

জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত তিন মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকে দলীয় আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের এই তিন মূলনীতিকে আদর্শ ঘোষণার আগে ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠাই ছিল দলটির একমাত্র আদর্শ।
মঙ্গলবার জামায়াতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিদ্যমান পরিবেশ পরিস্থিতিসহ আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দলটি তার রাজনৈতিক চিন্তার পুনর্গঠন করেছে।
এখন দলটি বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের তিন মূলনীতি ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ‘কল্যাণধর্মী সমাজ’ বিনির্মাণের জন্য কাজ করছে। এজন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে দলটি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অখণ্ডতার নীতি অবলম্বন করে জামায়াত। এ জন্য ব্যাপক সমালোচিত দলটি। পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করার দাবি করে দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রথমে দালালির এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
জামায়াত নেতারা পাকিস্তানের অখণ্ডতার নীতির কথা স্বীকার করলেও কোনও ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। কিন্তু দুর্বল রাজনৈতিক কৌশলের কারণে দলটির বক্তব্য যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
এদিকে সোমবার জামায়াতের নতুন আমীর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে দেয়া বক্তৃতায় স্বাধীনতার মূলনীতিগুলোকে দলীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণের কথা জানান মকবুল আহমাদ।

জামায়াতের নতুন আমীর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল জনগণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অকৃত্রিম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।