জাতীয় ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রায় পক্ষে না গেলে বিএনপি আইন মানে না, আদালত মানে না, আইনের শাসন মানে না। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আজ বুধবার দুপুরে পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনে দেশের জনগণ আগেও সাড়া দেয়নি। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে, সেটাও মানুষ মানবে না। তাদের আন্দোলনে মরা গাঙ্গে এখন আর জোয়ার আসে না।বিএনপির আন্দোলন এখন খালেদা জিয়ার ভ্যানিটি ব্যাগের ভেতর। ৯ বছর ধরে শুধু আন্দোলনের ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছে। এসব কারণে বিএনপির ধানের শীষ এখন মানুষের কাছে পেটের বিষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ সম্পাদক আরো বলেন, বিশ্বের কোথাও আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় না। ভারতের জয় ললিতার মতো বড় নেতার বিরুদ্ধে আদালতের রায় হলেও সেখানে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। বিএনপির হুমকিকে আওয়ামী লীগ পাত্তা দেয় না।
বিএনপিকে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি অভিহিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা আওয়ামী লীগের আমলে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে করা। সরকার আদালতের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই এ সরকারের আমলে মন্ত্রী, এমপি ও তাদের সন্তানরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন, কেউবা জেল খেটেছেন। কিন্তু বিএনপি নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অতীতের মতো এবারও তাদের আন্দোলনের স্বপ্ন ব্যর্থ পরিণত হবে। বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি করার দরকার নেই। ৮ তারিখ খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভাবনা থাকলে প্রধানমন্ত্রী বরিশাল যেতেন না। বিএনপি ৯ বছর ধরে শুধু আন্দোলনের কথা বলেই আসছে। ঈদের পর, পরীক্ষার পর আন্দোলন করবে বলে ৯ বছর পারল করলেও তাদের ঈদ আর পরীক্ষা শেষ হলো না। দেখতে দেখতে ৯ বছর গেল, আন্দোলন করবে কোন বছর?
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে এবং পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু,পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আজিজুর রহমান আরজু, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক খ ম হাসান কবির আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মামুন, কেন্দ্রীয় আওয়ামলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পাবনা-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী আব্দুল আলীম, পাবনা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।