জাতীয় ডেস্ক:

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অমিত সাহা ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান এই রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে আসামিদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার সম্পর্কে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্রিকেট স্টাম্প স্কিপিং রোলসহ আরও অনেক আলামত জব্দ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকালের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই দুই আসামির নাম প্রকাশ করেছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে জন্য এই আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

আসামি তোহার পক্ষে আইয়ুব হোসেন রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ জামিন নামঞ্জুর ও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অপর আসামি অমিত সাহার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে কোনো আবেদন ছিল না।

প্রসঙ্গত, অমিত বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আর তোহা ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাবের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে মামলাটিতে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, সদস্য মো. মুজাহিদুর রহমান, কর্মী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন ও সাসছুল আরেফিন রাফাত গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। যাদের মধ্যে সকাল বৃহস্পতিবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন মামলা করেন।