জাতীয় ডেস্ক:
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত পুলিশ ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাউল ইসলাম জিওন এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকারের নাম জানা গেছে।
শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে। মৃত আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
চকবাজার থানার ওসি সোহরাব হোসেন বলেন, রাত পৌনে ৩টার দিকে তাঁরা খবর পান শের-ই বাংলা হলের বাইরে নিচতলায় ছেলেটা পড়ে আছে। হল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে যান তারা। ছেলেটির পরনে ছিল ট্রাউজার ও শার্ট।
আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করে সোহরাব হোসেন বলেন, আঘাত কোনো অস্ত্রের নয়। কোনো কিছু দিয়ে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কেন এত রাতে সে বাইরে গিয়েছিল, তা কেউ বলতে পারেনি। সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাব।
ঘটনাস্থলে আসা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে সম্পাদিত চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন আবরার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসের সম্পর্ক খুঁজছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আজ দুপুরে বিক্ষোভও করেছে।