তথ্যপ্রযোক্তি ডেস্কঃ
দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা চালু করার জন্য আদালত সময় বেধে দেয়। গত ২৫ জুলাই মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আপিল বেঞ্চের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিটিসেল চালুর নির্দেশ ছাড়াও বিটিআরসিকে তরঙ্গ বরাদ্দের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ দুটি শর্তের মাধ্যমে সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দের সংযোগ দিতে বলেছিল। যার মধ্যে একটি ছিল, উদ্ভূত বিরোধ নিরসনে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া। এছাড়া ১০০ কোটি টাকা ১৯ নভেম্বরের মধ্যে বিটিআরসিকে পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। সিটিসেল গত বছরের ১৭ নভেম্বর ওই অর্থ পরিশোধ করে। অথচ চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দের লাইসেন্স বাতিলের জন্য নোটিশ দেয়। পরে ১১ জুন তরঙ্গ বরাদ্দ লাইসেন্স বাতিল ও তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করা হলে আদালত আজ ওই আদেশ দেন।
আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, কামরুল হক সিদ্দিক ও রেজা-ই রাব্বী খন্দকার।
এর আগে ২৪ এপ্রিল সোমবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এর আগে গত সপ্তাহে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সংক্রান্ত ফাইল বিটিআরসিতে এসে পৌঁছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে সরকারের পৌনে পাঁচশ কোটি টাকা পাওনা। এই পাওনা না পেয়ে গত জুলাই মাসে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। পরের মাসে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই নোটিসের পর সিটিসেল আদালতে গেলে আপিল বিভাগ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দিয়েছিল। গত ২৯ আগস্ট আদালতের ওই আদেশ হয়। বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১৭ অগাস্টের আগ পর্যন্ত সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। এর দুই তৃতীয়াংশ এখন থেকে এক মাসের মধ্যে, আর এক তৃতীয়াংশ পরবর্তী এক মাসে পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া ১৭ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ১৮ লাখ টাকা করে পাওনা রয়েছে।