ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে সেলিম প্রধান

জাতীয় :

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দেশের অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার ওই মামলার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।

গত ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ৩১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সেলিম প্রধানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে আদালতে হাজির না করায় বিচারক বুধবার তার রিমান্ড শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৩ অক্টোবর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। অর্থ পাচার মামলায় গত ১৩ অক্টোবর তাদের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর আবারও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় ও বনানীর বাসায় অভিযান চালান র‌্যাব সদস্যরা। এ অভিযানে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, দুটি হরিণের চামড়া, তিনটি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়।

সেলিম প্রধান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার বিভিন্ন পার্টিতে তরুণী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্পা ও বিউটি পার্লার যেখানে ভিআইপিদের আসা যাওয়া রয়েছে, সেগুলোতে মেয়ে সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সেই মেয়েরা ভিআইপিদের বিনোদন দেওয়ার কাজ করতেন।

বাসায় হরিণের চামড়া রাখার অপরাধে সেলিম প্রধানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ অক্টোবর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে সেলিম প্রধান

আপডেট সময় ১২:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

জাতীয় :

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দেশের অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার ওই মামলার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।

গত ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ৩১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সেলিম প্রধানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে আদালতে হাজির না করায় বিচারক বুধবার তার রিমান্ড শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৩ অক্টোবর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। অর্থ পাচার মামলায় গত ১৩ অক্টোবর তাদের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর আবারও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় ও বনানীর বাসায় অভিযান চালান র‌্যাব সদস্যরা। এ অভিযানে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, দুটি হরিণের চামড়া, তিনটি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়।

সেলিম প্রধান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার বিভিন্ন পার্টিতে তরুণী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্পা ও বিউটি পার্লার যেখানে ভিআইপিদের আসা যাওয়া রয়েছে, সেগুলোতে মেয়ে সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সেই মেয়েরা ভিআইপিদের বিনোদন দেওয়ার কাজ করতেন।

বাসায় হরিণের চামড়া রাখার অপরাধে সেলিম প্রধানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ অক্টোবর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব।