জাতীয় ডেস্ক:
আলেমদের একমঞ্চে আনা ও কওমী আলেমদের খেদমতের জন্য হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন শোলাকিয়ার ইমাম ও আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। আজ রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘শোকরানা মাহফিল’ থেকে তিনি এ আহ্বান জানান।
কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশ শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করে।
শোকরানা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল পৌনে ১১টায় তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশে হাজির হন। এ সময় সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এসময় জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কওমি মাদ্রাসার জন্য নজিরবিহীন একটি কাজ করেছেন। যা ইতিপূর্বে কেউই করেনি। আমরা তাকে শুকরিয়া জানাতেই একত্র হয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আরো দুটি আরজ (দাবি) করবো, এক, সারাদেশে ইমামদের ৫ হাজার ও মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার করে ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। দুই, এ পর্যন্ত কোনো আলেমকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। আল্লামা আহমদ শফী সাহেব, যিনি কওমী আলেমদের খেদমতে নিয়োজিত, তিনি সারাদেশের আলমদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এজন্য তাকে স্বাধীনতা পদক দেবেন’।
সকাল নয়টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কওমির ছয় বোর্ডের সমন্বিত আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমি শাহ আহমদ শফী।