ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক ভেষজ ভায়াগ্রা!

লাইফস্টাইল :

এবার বাজারে আসছে পুরুষদের জন্য ভেষজ জন্মনিরোধক পিল। আর এই পিলে একইসঙ্গে ভায়াগ্রার গুণও থাকবে। 

পুরুষদের জন্য ভেষজ এ জন্মনিরোধক ওযুধ আবিষ্কার করেছেন ইন্দোনেশিয়ার এয়ারলাংগা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক বামবাং প্রাজোগো এবং অধ্যাপক ডায়ান প্রামেস্তি। 

জাস্টিসিয়া জেন্ডারুসা নামের এক প্রজাতির ঝোপের নির্যাস তাদের গবেষণার মূল উপাদান।

এ ওষুধ পুরুষের শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা কমাবে এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াবে। 

জানা গেছে, প্রাচীন কালে পাপুয়া নিউগিনির এক জনজাতির পুরুষরা সন্তান না নেওয়ার জন্য ওই উদ্ভিদের পাতা ফুটিয়ে পান করতেন। তা কার্যকর ছিল বলেও জানা যায়। এর নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা সহযোগী পর্ষদ এবং এয়াপলাংগা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ১৯৮৫ সালে জাস্টিসিয়া জেন্ডারুসা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এই উদ্ভিদের নির্যাসের রাসায়নিক বিক্রিয়াকরণ ঘটিয়ে ক্যাপসুলের আকারে তৈরি হয়েছে পুরুষদের জন্মনিরোধক ওযুধ। 

গবেষণায় জানা গেছ, শুক্রাণুর মাথায় থাকা উৎসেচককে অকেজো করতে সক্ষম ওই উদ্ভিদের নির্যাস। এর ফলে শুক্রাণু শ্লথ ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, যার জেরে তা ডিম্বাশয়ে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়।

গবেষকরা এরইমধ্যে মোট ১২০টি দম্পতির ওপর ওষুধটি ১০৮ দিন প্রয়োগ করে দেখেছেন। ফল ছিল ইতিবাচক। এরপর আরও ৩৫০টি যুগলকে এ ওষুধ সেবন করতে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে কেউই পোয়াতি হননি। তাদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, তারা ভায়াগ্রা সেবনের মতো যৌনশক্তি বৃদ্ধির অনুভূতি পেয়েছেন। 

শিগরিই এ ওষুধ বাজারে ছাড়া হতে পারে। তবে সমালোচকরা দাবি করেছেন, এই ক্যাপসুল নিয়মিত সেবন করলে পুরুষের ওজন বাড়তে থাকে। তবে ওজন যাতে না বাড়ে তা নিয়ে চলছে গবেষণা। 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

আসছে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক ভেষজ ভায়াগ্রা!

আপডেট সময় ০২:৪২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

লাইফস্টাইল :

এবার বাজারে আসছে পুরুষদের জন্য ভেষজ জন্মনিরোধক পিল। আর এই পিলে একইসঙ্গে ভায়াগ্রার গুণও থাকবে। 

পুরুষদের জন্য ভেষজ এ জন্মনিরোধক ওযুধ আবিষ্কার করেছেন ইন্দোনেশিয়ার এয়ারলাংগা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক বামবাং প্রাজোগো এবং অধ্যাপক ডায়ান প্রামেস্তি। 

জাস্টিসিয়া জেন্ডারুসা নামের এক প্রজাতির ঝোপের নির্যাস তাদের গবেষণার মূল উপাদান।

এ ওষুধ পুরুষের শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা কমাবে এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াবে। 

জানা গেছে, প্রাচীন কালে পাপুয়া নিউগিনির এক জনজাতির পুরুষরা সন্তান না নেওয়ার জন্য ওই উদ্ভিদের পাতা ফুটিয়ে পান করতেন। তা কার্যকর ছিল বলেও জানা যায়। এর নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা সহযোগী পর্ষদ এবং এয়াপলাংগা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ১৯৮৫ সালে জাস্টিসিয়া জেন্ডারুসা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এই উদ্ভিদের নির্যাসের রাসায়নিক বিক্রিয়াকরণ ঘটিয়ে ক্যাপসুলের আকারে তৈরি হয়েছে পুরুষদের জন্মনিরোধক ওযুধ। 

গবেষণায় জানা গেছ, শুক্রাণুর মাথায় থাকা উৎসেচককে অকেজো করতে সক্ষম ওই উদ্ভিদের নির্যাস। এর ফলে শুক্রাণু শ্লথ ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, যার জেরে তা ডিম্বাশয়ে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়।

গবেষকরা এরইমধ্যে মোট ১২০টি দম্পতির ওপর ওষুধটি ১০৮ দিন প্রয়োগ করে দেখেছেন। ফল ছিল ইতিবাচক। এরপর আরও ৩৫০টি যুগলকে এ ওষুধ সেবন করতে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে কেউই পোয়াতি হননি। তাদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, তারা ভায়াগ্রা সেবনের মতো যৌনশক্তি বৃদ্ধির অনুভূতি পেয়েছেন। 

শিগরিই এ ওষুধ বাজারে ছাড়া হতে পারে। তবে সমালোচকরা দাবি করেছেন, এই ক্যাপসুল নিয়মিত সেবন করলে পুরুষের ওজন বাড়তে থাকে। তবে ওজন যাতে না বাড়ে তা নিয়ে চলছে গবেষণা।