আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বন্দিশালা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র্র দপ্তর। ইতিমধ্যে মুম্বাই প্ল্যানিং অথরিটিকে জমি বরাদ্দের জন্য এক চিঠি পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের যে সমস্ত এলাকায় বেশি অনুপ্রবেশকারীর বাস রয়েছে, সেখানে বন্দিশালা তৈরি করতে হবে।
ইতিমধ্যে আসামে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বন্দিশালা তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। গোয়ালপাড়া জেলায় তিন হাজার মানুষের জন্য ১০টি বন্দিশালা তৈরি করছে সরকার। বন্দিশালা নির্মাণে ৪৬ কোটি টাকা খরচ হবে।
গত সপ্তাহে গণমাধ্যম এএনআইকে শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন,‘মহারাষ্ট্রে প্রকৃত নাগরিকদের সমস্যার সমাধানে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আসামে এনআরসি পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এ প্রদেশ থেকে বাংলাদেশিদের তাড়াতে মুম্বাইয়েও একই পদক্ষেপ চাই।’
চলতি বছরের শুরুতে রাজস্থানে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ বলে মন্তব্য করেন। একজন অনুপ্রবেশকারীও ভারতে থাকতে পারবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
জুলাইয়ে রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন,‘ দেশের মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে চায় সরকার।’
সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়কং টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতীয় বলতে নতুন সংজ্ঞা তৈরির চেষ্টা করছে। এ কারণে সরকার কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদকে সামনে আনছে। তাছাড়া, মোদি বিপজ্জনক খেলা খেলছে। ফলে দেশটির হাজার বছরের ধর্মীয় বহুত্ববাদের চেতনা নষ্ট হতে পারে।