ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদকে সামনে রেখে মুরাদনগরে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া, দেওয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারিও

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

ঈদকে সামনে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২২টি ইউনিয়নে ৩১৭টি গ্রাম, মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানা নিয়ে গঠিত মুরাদনগর উপজেলা। সেই বৃহত্তর উপজেলার  গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট মাদক বেচাকেনা। আর এতে সর্বত্র মাদকেরে ভয়াবহ নেশায় আসক্ত হয়ে পরছে উপজেলার যুব সমাজ। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাতে আটক ও মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের কয়েক জনকে সাজা দিলেও কখনও থেমে নেই এদের মাদক ব্যবসা।

আবার গ্রামগুলোতে বিকাশে টাকা পরিশোধের পর হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মাদক পৌঁছে দেওয়া হয় বাসায়। পুলিশ মাদকের বড় চালানের দিকে নজর দিলেও এসব খুচরা ব্যবসায়ীদের বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। ফলে ঘরে বসে নিশ্চিন্তে মাদক পাচ্ছে আসক্তরা। যার কারণ স্কুল কলেজগামী কিশোর তরুনদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার ও পাচার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেই অভিভাবকমহল চরম উদ্ধেগ ও উৎকন্ঠায় পড়েছেন। এই মরণনেশার ছোবল থেকে কোমলমতি সন্তানদের বাঁচাতে আইনশৃংখলা বাহীনিকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে মাদকের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দিনে রাতে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হোরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য। এ কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করছে থানা পুলিশের কতিপয় সোর্স, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, ছাত্রনেতাসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রামচন্দ্রপুর বাজারে ইয়াবার সবচেয়ে বড় পাইকারী হচ্ছেন সরকার বাড়ির পল্টু সরকারের বড় ছেলে সায়েম। তিনি এলাকায় ইয়াবা সায়েম হিসাবে পরিচিত। তিনি মুরাদনগর, হোমনা,বাঞ্ছারামপুর,নবীনগর ও দেবীদ্বার থানায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারী বিক্রি করেন। অপর দিকে ডুমরিয়া তিতাস গ্রামের আল-আমিন, বাখরাবাদ এলাকার সুমন, বাঁশকাইট গ্রামের আজিজ, পৈয়াপাথর গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে শাহ আলম ও মৃত অদুদ মিয়ার ছেলে রায়হান আহম্মেদ সবুজ (৩০), সংচাইল গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে হেলাল মিয়া, নবীয়াবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বার, লিল মিয়া, আব্বাস, ছেতু,সফিক, কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মনির ওরফে নয়ন মনি(২৮), রশিদ মেম্বারের ছেলে সোহেল রানা(১৮), আবু তাহেরের ছেলে শাহজালাল(১৮), আব্দুর রশিদের ছেলে শাহ্পরান(২৮) ও  মৃত আকমত আলীর ছেলে রাকিব ভূইয়া(৪২), বাহরামের কান্দা গ্রামের কাদু মিয়ার ছেলে জাকির হেসেনের(৩২), মোচাগড়া গ্রামের জাঙ্গাল হাটি এলাকার সীমা বেগম, শুকুনী বেগম, ডলি বেগম, হানিফ মিয়া, আরমান মিয়া ও আবু বেগম, ছালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত সুভাষ চন্দ্র সাহার ছেলে সুমন সাহা(৩৩), মোচাগড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী গোলাপী বেগমকে (৪৫), চৈনপুর গ্রামের মোঃ রাজ্জাক মিয়া ৥ কনু মিয়া স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৬), হায়দরাবাদ উত্তর পাড়া (জোড় পুকুর পাড়) গ্রামের মৃত তবদিল হোসেন ছেলে মোঃ আবুল খায়ের (৬০), মৃত্যু লতু মিয়ার ছেলে শিপন(৩২) ও মৃত ছাবর আলী ছেলে মোঃ শাওন (৩২), রামচন্দ্রপুর খানেপাড়ার আবু হানিফ, রামচন্দ্রপুর বাজার পাড়ার মোঃ খালেক মিয়ার ছেলে শাহ জালাল ৥ জালাল (২৫), পাজিরপাড় গ্রামের মৃত রাজ বিহারী চন্দ্র দাসের ছেলে ভূবন চন্দ্র দাস(২৬), আন্দিকুট গ্রামের মৃত আলী হোসেন বেপারীর ছেলে মোঃ মঙ্গল মিয়া (৪৫), জাহাপুর গ্রামের সাইফুল, রোয়াচালা গ্রামের মোঃ মকতুল হোসেনের ছেলে মোঃ আনিছ ইসলাম ৥ আনির ৥ আনি (১৯), শ্রীকাইল গ্রামের মৃত্য আ: ছামাদের ছেলে ফুল মিয়া (৩৫), আলীনগর গ্রামের মৃত কাদির সরকারের ছেলে মোঃ মতিন সরকার (৫০), সোনাকান্দা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে রোমান(২২), হাটাশ পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আনু মিয়া ছেলে খলিলুর রহমান(৫০), টনকী পূর্বপাড়ার মৃত চাঁন মিয়া ছেলে ইউসুফ (৪০), পরমতলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে এরশাদ(৩০), আমিননগর উত্তর পাড়ার ছাবত আলীর ছেলে ল্যাংড়া সাইফুল (৩২), পালাসুতা গ্রামের মোঃ মোতালেব হোসেনের স্ত্রী পারুল বেগম (৪৬), মাজুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪), বড় আলীরচর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৮), দারোরা বাজারের ব্যবসায়ী মো: আলী মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম(৪১), দুইড়ার জামিরা আবদুল হালিমের ছেলে সানারুল প্রকাশ সানু (৩১), মেটংঘর, পূর্বপাড়ার মৃত মোঃ লুনতু মিয়া ছেলে বিল্লাল(৩৮) মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী।

তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে উপজেলার মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা হয়েছে ও আটক হয়েছে। তারাই এখন ঈদকে সামনে রেখে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হোরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বিক্রিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

সূত্র আরো জানায়, রামচন্দ্রপুর বাজার, উপজেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বাংলা মদ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০ বছর ধরে, সেফা হাসপাতালের আশপাশে ও উত্তর পাড়া, কোম্পানীগঞ্জ বাজার, শিবানীপুর, গুঞ্জর, থোল্লা, বাখরনগর, বাঙ্গরা, মেটংঘর, আন্দিকোর্ট, দারোরা, কাজিয়াতল, শ্রীকাইল, জাহাপুর, ছালিয়াকান্দি, পাহাড়পুর, পূর্বধইর পূর্ব ও পশ্চিম, আকবপুর, রামচন্দ্রপুর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন গুলোতেও সহজে মিলছে ইয়াবা।

কোম্পানীগঞ্জ বাজারের এক মাদক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করে জানায়, পুলিশ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্র-ছায়ায় ও তাদেরকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা।

মুরাদনগরের এক বাসিন্দা বলেন, এই এলাকায় থানার সোর্সরা আসামি ধরার নামে পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। তারাই টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসার সুযোগ করে দেয়। আবার কেউ মাদক বিক্রিতে বাধা দিলে সোর্সরা তাদেরকে কৌশলে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

মুরাদনগর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদকে আমরা জিরু টলারেন্স।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে কোনো আপস নেই। আমি এ থানায় আসার পর বেশ কয়েকটি মাদকের ছোট-বড় চালান আটক করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযান অব্যাহত আছে এবং প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

ঈদকে সামনে রেখে মুরাদনগরে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া, দেওয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারিও

আপডেট সময় ০১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

ঈদকে সামনে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২২টি ইউনিয়নে ৩১৭টি গ্রাম, মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানা নিয়ে গঠিত মুরাদনগর উপজেলা। সেই বৃহত্তর উপজেলার  গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট মাদক বেচাকেনা। আর এতে সর্বত্র মাদকেরে ভয়াবহ নেশায় আসক্ত হয়ে পরছে উপজেলার যুব সমাজ। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাতে আটক ও মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের কয়েক জনকে সাজা দিলেও কখনও থেমে নেই এদের মাদক ব্যবসা।

আবার গ্রামগুলোতে বিকাশে টাকা পরিশোধের পর হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মাদক পৌঁছে দেওয়া হয় বাসায়। পুলিশ মাদকের বড় চালানের দিকে নজর দিলেও এসব খুচরা ব্যবসায়ীদের বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। ফলে ঘরে বসে নিশ্চিন্তে মাদক পাচ্ছে আসক্তরা। যার কারণ স্কুল কলেজগামী কিশোর তরুনদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার ও পাচার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেই অভিভাবকমহল চরম উদ্ধেগ ও উৎকন্ঠায় পড়েছেন। এই মরণনেশার ছোবল থেকে কোমলমতি সন্তানদের বাঁচাতে আইনশৃংখলা বাহীনিকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে মাদকের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দিনে রাতে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হোরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য। এ কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করছে থানা পুলিশের কতিপয় সোর্স, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, ছাত্রনেতাসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রামচন্দ্রপুর বাজারে ইয়াবার সবচেয়ে বড় পাইকারী হচ্ছেন সরকার বাড়ির পল্টু সরকারের বড় ছেলে সায়েম। তিনি এলাকায় ইয়াবা সায়েম হিসাবে পরিচিত। তিনি মুরাদনগর, হোমনা,বাঞ্ছারামপুর,নবীনগর ও দেবীদ্বার থানায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারী বিক্রি করেন। অপর দিকে ডুমরিয়া তিতাস গ্রামের আল-আমিন, বাখরাবাদ এলাকার সুমন, বাঁশকাইট গ্রামের আজিজ, পৈয়াপাথর গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে শাহ আলম ও মৃত অদুদ মিয়ার ছেলে রায়হান আহম্মেদ সবুজ (৩০), সংচাইল গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে হেলাল মিয়া, নবীয়াবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বার, লিল মিয়া, আব্বাস, ছেতু,সফিক, কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মনির ওরফে নয়ন মনি(২৮), রশিদ মেম্বারের ছেলে সোহেল রানা(১৮), আবু তাহেরের ছেলে শাহজালাল(১৮), আব্দুর রশিদের ছেলে শাহ্পরান(২৮) ও  মৃত আকমত আলীর ছেলে রাকিব ভূইয়া(৪২), বাহরামের কান্দা গ্রামের কাদু মিয়ার ছেলে জাকির হেসেনের(৩২), মোচাগড়া গ্রামের জাঙ্গাল হাটি এলাকার সীমা বেগম, শুকুনী বেগম, ডলি বেগম, হানিফ মিয়া, আরমান মিয়া ও আবু বেগম, ছালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত সুভাষ চন্দ্র সাহার ছেলে সুমন সাহা(৩৩), মোচাগড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী গোলাপী বেগমকে (৪৫), চৈনপুর গ্রামের মোঃ রাজ্জাক মিয়া ৥ কনু মিয়া স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৬), হায়দরাবাদ উত্তর পাড়া (জোড় পুকুর পাড়) গ্রামের মৃত তবদিল হোসেন ছেলে মোঃ আবুল খায়ের (৬০), মৃত্যু লতু মিয়ার ছেলে শিপন(৩২) ও মৃত ছাবর আলী ছেলে মোঃ শাওন (৩২), রামচন্দ্রপুর খানেপাড়ার আবু হানিফ, রামচন্দ্রপুর বাজার পাড়ার মোঃ খালেক মিয়ার ছেলে শাহ জালাল ৥ জালাল (২৫), পাজিরপাড় গ্রামের মৃত রাজ বিহারী চন্দ্র দাসের ছেলে ভূবন চন্দ্র দাস(২৬), আন্দিকুট গ্রামের মৃত আলী হোসেন বেপারীর ছেলে মোঃ মঙ্গল মিয়া (৪৫), জাহাপুর গ্রামের সাইফুল, রোয়াচালা গ্রামের মোঃ মকতুল হোসেনের ছেলে মোঃ আনিছ ইসলাম ৥ আনির ৥ আনি (১৯), শ্রীকাইল গ্রামের মৃত্য আ: ছামাদের ছেলে ফুল মিয়া (৩৫), আলীনগর গ্রামের মৃত কাদির সরকারের ছেলে মোঃ মতিন সরকার (৫০), সোনাকান্দা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে রোমান(২২), হাটাশ পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আনু মিয়া ছেলে খলিলুর রহমান(৫০), টনকী পূর্বপাড়ার মৃত চাঁন মিয়া ছেলে ইউসুফ (৪০), পরমতলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে এরশাদ(৩০), আমিননগর উত্তর পাড়ার ছাবত আলীর ছেলে ল্যাংড়া সাইফুল (৩২), পালাসুতা গ্রামের মোঃ মোতালেব হোসেনের স্ত্রী পারুল বেগম (৪৬), মাজুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪), বড় আলীরচর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৮), দারোরা বাজারের ব্যবসায়ী মো: আলী মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম(৪১), দুইড়ার জামিরা আবদুল হালিমের ছেলে সানারুল প্রকাশ সানু (৩১), মেটংঘর, পূর্বপাড়ার মৃত মোঃ লুনতু মিয়া ছেলে বিল্লাল(৩৮) মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী।

তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে উপজেলার মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা হয়েছে ও আটক হয়েছে। তারাই এখন ঈদকে সামনে রেখে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হোরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বিক্রিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

সূত্র আরো জানায়, রামচন্দ্রপুর বাজার, উপজেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বাংলা মদ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০ বছর ধরে, সেফা হাসপাতালের আশপাশে ও উত্তর পাড়া, কোম্পানীগঞ্জ বাজার, শিবানীপুর, গুঞ্জর, থোল্লা, বাখরনগর, বাঙ্গরা, মেটংঘর, আন্দিকোর্ট, দারোরা, কাজিয়াতল, শ্রীকাইল, জাহাপুর, ছালিয়াকান্দি, পাহাড়পুর, পূর্বধইর পূর্ব ও পশ্চিম, আকবপুর, রামচন্দ্রপুর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন গুলোতেও সহজে মিলছে ইয়াবা।

কোম্পানীগঞ্জ বাজারের এক মাদক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করে জানায়, পুলিশ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্র-ছায়ায় ও তাদেরকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা।

মুরাদনগরের এক বাসিন্দা বলেন, এই এলাকায় থানার সোর্সরা আসামি ধরার নামে পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। তারাই টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসার সুযোগ করে দেয়। আবার কেউ মাদক বিক্রিতে বাধা দিলে সোর্সরা তাদেরকে কৌশলে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

মুরাদনগর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদকে আমরা জিরু টলারেন্স।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে কোনো আপস নেই। আমি এ থানায় আসার পর বেশ কয়েকটি মাদকের ছোট-বড় চালান আটক করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযান অব্যাহত আছে এবং প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।