খেলাধূলা ডেস্কঃ
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উইকেটের সমালোচনা করে বিসিবি কাঠগড়ায় হাজির হতে হয়েছে তামিম ইকবালকে। গতকাল বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অবশ্য নিজের ভুল স্বীকার করেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। শুনানি শেষে তিনি জানিয়েছেন, সমালোচনার ক্ষেত্রে তার ভাষা প্রয়োগ আরো ভালো, সুন্দর হতে পারত। এদিকে শুনানির পর বিসিবিও গতকাল কোনো শাস্তি, জরিমানা ঘোষণা করেনি।
গত ২ ডিসেম্বর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-রংপুর রাইডার্সের ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে এবং সংবাদ সম্মেলনে শেরেবাংলার উইকেটকে ‘জঘন্য’ উল্লেখ করেছিলেন তামিম। উইকেটের সমালোচনায় মুখর ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, ব্রেন্ডন ম্যাককালামও। কিন্তু তামিমের ভাষা পছন্দ হয়নি বিসিবির। তাইতো ‘শোকজ’ করা হয় শুধুই তাকে। প্রাথমিকভাবে ২১ ডিসেম্বর শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। দুবাইয়ে টি-টেন ক্রিকেট লিগ, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে গতকালই শুনানিতে উপস্থিত হন এ ওপেনার। গতকাল সন্ধ্যায় টি-টেন ক্রিকেট লিগ খেলতে দুবাইয়ের বিমান ধরেছেন তিনি।
গতকাল শুনানির পর তামিম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাকে যে কারণে শুনানিতে ডাকা হলো সবাই জানি যে উইকেট এবং আউটফিল্ড। উনারা উনাদের আপত্তিটা আমাকে জানিয়েছেন। আমার মনে হয় আমি আরো ভালো শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম বিষয়টা বর্ণনা করতে গিয়ে। আমি হয়ত জিনিসটা ভালোভাবে বলতে পারিনি। উনারাও বিষয়টা সুন্দরভাবে নিয়েছেন। তারা বলেছেন কারণ আমি বাংলাদেশের জন্য খেলছি। বিসিবি আমার অভিভাবক। এই উইকেট, আউটফিল্ড আমাদের সম্পদ। তাই আমার কাছে মনে হয় আমি আরো ভালো শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম। এবং ভবিষ্যতে এটা নিয়ে আমি সতর্ক থাকব।’
শুনানিতে বিসিবির কয়েকজন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। নিজের ভুল স্বীকারে বিসিবির কর্তারা সন্তুষ্ট বলেই মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ওনারা সন্তুষ্ট। ফলাফল কি হয় আমি জানি না। এটা হয়ত ভবিষ্যতে দেখতে পারব। উনারা একমত আমি জিনিসটাকে আরেকটু ভালোভাবে সামলাতে পারতাম। তাই আশা করি সবকিছু ঠিকঠাক থাকছে।’
এদিকে তামিমের শুনানির পর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘আমরা তামিমের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে কোড অব কন্ডাক্টের বিষয়টি জানিয়েছি। সে আমাদের বিসিবির চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়। তবে কি কথা হয়েছে বা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানাতে পারছি না। এটা আমরা বোর্ডে পাঠিয়েছি। সে তার ভুল স্বীকার করেছে।’
তামিমকে সম্প্রতি টেস্ট দলের সহঅধিনায়ক পদ থেকেও বাদ দিয়েছে বিসিবি। সাকিবকে অধিনায়ক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টেস্ট দলের সহঅধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে অভিযোগ নেই তামিমের।
তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করে পুরোটা ওনাদের উপরে। আমি যখন টেস্টের সহঅধিনায়ক ছিলাম তখন ওনারা আমাকে সঠিক মানুষ করেন দেখেই দিয়েছিলেন। এসময় আরেকজন হয়ত আমার চেয়ে ভালো। এটা নিয়ে আমার কোনো দিন কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু যেটা আমি করতে পারি তা হলো তাদের সাহায্য করা। কারণ আমি একজন সিনিয়র ক্রিকেটার। আমি চেষ্টা করব যারা নতুন অধিনায়ক, সহঅধিনায়ক আছে তারা সবসময় সমর্থন পাবে।’