ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনের আগেই ‘দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু’তে ফাটল

জাতয়ি ডেস্কঃ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মধ্যে মেঘনা নদীতে নির্মাণাধীন ‘দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু’র উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীতে ৮/৯/১০ নম্বরের তিনটি পিলারের সাইড ভেঙে গেছে।

এর মধ্যে ৯ নম্বর পিলারটিতে ফাটলের পরিমাণ বেশি দেখা যায়। কিভাবে সাইড ভেঙে পিলারে ফাটল দেখা দিল কেউ বলতে পারছেন না। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার কিছুই জানেন না।

কেউ কেউ বলছেন সেতুর নির্মাণকাজ নিম্নমানের হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা কিছু বলতে রাজি হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রকৌশলী জানান, কার্গো বা জাহাজের ধাক্কায় পিলারের সাইড ভেঙে গেলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুর পিলারে ফাটল সৃষ্টি হতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করলেই বুঝা যাবে ঠিক কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় ইরকন অ্যান্ড এফকনস কোম্পানি সেতুটির নির্মাণকাজ করেছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৫৬৭ কোটি টাকা।

এই রেলওয়ে সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮৪ মিটার এবং প্রস্থ্য হবে ৭ মিটার। নির্মিত সেতুতে ব্রডগেজ লাইন করা হয়েছে। ৩ বছরের প্রকল্পে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে প্রকল্পের মেয়াদ একাধিকবার বাড়িয়ে ৪ বছর করা হয়।

বর্তমানে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যই সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কাজও শেষ হয়েছে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত সেতুটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

উদ্বোধনের আগেই ‘দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু’তে ফাটল

আপডেট সময় ০২:০৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
জাতয়ি ডেস্কঃ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মধ্যে মেঘনা নদীতে নির্মাণাধীন ‘দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু’র উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীতে ৮/৯/১০ নম্বরের তিনটি পিলারের সাইড ভেঙে গেছে।

এর মধ্যে ৯ নম্বর পিলারটিতে ফাটলের পরিমাণ বেশি দেখা যায়। কিভাবে সাইড ভেঙে পিলারে ফাটল দেখা দিল কেউ বলতে পারছেন না। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার কিছুই জানেন না।

কেউ কেউ বলছেন সেতুর নির্মাণকাজ নিম্নমানের হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা কিছু বলতে রাজি হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রকৌশলী জানান, কার্গো বা জাহাজের ধাক্কায় পিলারের সাইড ভেঙে গেলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুর পিলারে ফাটল সৃষ্টি হতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করলেই বুঝা যাবে ঠিক কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় ইরকন অ্যান্ড এফকনস কোম্পানি সেতুটির নির্মাণকাজ করেছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৫৬৭ কোটি টাকা।

এই রেলওয়ে সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮৪ মিটার এবং প্রস্থ্য হবে ৭ মিটার। নির্মিত সেতুতে ব্রডগেজ লাইন করা হয়েছে। ৩ বছরের প্রকল্পে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে প্রকল্পের মেয়াদ একাধিকবার বাড়িয়ে ৪ বছর করা হয়।

বর্তমানে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যই সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কাজও শেষ হয়েছে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত সেতুটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।