মো: হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি বলেছেন, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে ক্যাশ টাকার লোভ-লালসা পরিহার করতে হবে। টাকায় বিক্রি না হয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করুন। তাহলেই মুরাদনগর উপজেলাকে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ উপজেলায় রুপান্তরিত করা সম্ভব। ২০১৪ সালের পর থেকে গত চার বছরে মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় সাতশ’ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। উপজেলার প্রধান প্রদান সড়ক প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে রাস্তাগুলো বাকি রয়েছে তা শিগ্রই শেষ করা হবে। এছাড়াও রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা বিগত ৪১ বছরেও সম্ভব হয়নি। ।
আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি শুক্রবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দত্ত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সরকার। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান ভুইয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী কামাল উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, বাবুল আহমেদ মোল্লা, কাইয়ুম ভুইয়া, রুহুল আমিন, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বেগ, আব্দুল হাকিম সওদাগর, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিন আহাম্মদ ভুইয়া, বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবুল কালাম, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, আকবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রজ্জব হোসেন রাজু।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, আরিফুল ইসলাম শাহেদ, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, কুমিল্লা উত্তর জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রাজিব মুন্সী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ মাসুম, যুবলীগ নেতা আহসান হাবিব শামীম, জেলা কৃষকলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, আক্তার হোসেন মেম্বার, বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আমির হোসেন লালন ও ওমর ফারুক ভুইয়া প্রমুখ।
ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি আরো বলেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে গত ৪১ বছরে আওয়ামী লীগের এমপি না থাকায় মুরাদনগরে কোন উন্নয়ন হয়নি। বিগত বছর গুলোতে যারা রাজনীতি করেছে তারা ত্যাগের জন্য আসেনি, তারা শুধু ভোগ করেছে। ভোগের রাজনীতি পরিহার করে ত্যাগের রাজনীতি গ্রহন করলে মুরাদনগর উপজেলা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করতো।