ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন প্রকল্পে তদারকি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

জাতীয় ডেস্কঃ

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরএডিপির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি জানান, প্রকল্পে তদারকি বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল বিভাগীয় শহরে আইএমইডির কার্যালয় স্থাপন করা হবে। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবসহ জনবল বৃদ্ধি করা হবে। মন্ত্রী জানান, প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে এর সমাপ্তি প্রতিবেদন দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেওয়া হয় না। এখন থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে এই প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প পরিচালকদের থাকতে এবং একাধিক প্রকল্পে একজন পরিচালক না রাখতে আবারো নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যতটা সম্ভব কৃষি জমি পরিহার করা, জলাধার রক্ষাকরা সহ অঞ্চল ভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণের নির্দেশনা আবারো দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, সংশোধিত এডিপিতে দারিদ্র্য বিমোচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুত্ উত্পাদন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইসিটি’র উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহায়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চলতি অর্থবছরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংশোধিত এডিপির ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা (জিওবি) ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা ৫১ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সংশোধিত এডিপি’র সর্বমোট আকার দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতে এডিপিতে মোট বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাত্ আরএডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ কমেছে ৯ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি বরাদ্দের অংশ বেড়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯১৬টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৬২৯টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৫৪টি এবং জেডিসিএফ অর্থায়িত প্রকল্প ২টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ১৩১টি প্রকল্প।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

উন্নয়ন প্রকল্পে তদারকি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

আপডেট সময় ১১:৩৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরএডিপির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি জানান, প্রকল্পে তদারকি বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল বিভাগীয় শহরে আইএমইডির কার্যালয় স্থাপন করা হবে। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবসহ জনবল বৃদ্ধি করা হবে। মন্ত্রী জানান, প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে এর সমাপ্তি প্রতিবেদন দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেওয়া হয় না। এখন থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে এই প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প পরিচালকদের থাকতে এবং একাধিক প্রকল্পে একজন পরিচালক না রাখতে আবারো নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যতটা সম্ভব কৃষি জমি পরিহার করা, জলাধার রক্ষাকরা সহ অঞ্চল ভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণের নির্দেশনা আবারো দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, সংশোধিত এডিপিতে দারিদ্র্য বিমোচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুত্ উত্পাদন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইসিটি’র উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহায়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চলতি অর্থবছরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংশোধিত এডিপির ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা (জিওবি) ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা ৫১ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সংশোধিত এডিপি’র সর্বমোট আকার দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতে এডিপিতে মোট বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাত্ আরএডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ কমেছে ৯ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি বরাদ্দের অংশ বেড়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯১৬টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৬২৯টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৫৪টি এবং জেডিসিএফ অর্থায়িত প্রকল্প ২টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ১৩১টি প্রকল্প।