জাতীয় ডেস্কঃ
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও এতে সহযোগিতার অভিযোগে বহিষ্কারের হিড়িক চলছে বিএনপিতে। গত এক সপ্তাহে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক উপজেলা পর্যায়ের নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরো শতাধিক নেতার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হবে। এনিয়ে কিছু নেতাকর্মীর মাঝে বহিষ্কার আতংক দেখা দিলেও অধিকাংশই পরোয়া করছেন না বলে জানা গেছে।
আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলার ভোটে বিএনপির অন্তত ২০-২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ১৮ মার্চ। ওই ধাপে ১২৯ টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। এই দুই ধাপে যারা নির্বাচনে আছেন তাদের বহিষ্কার চলছে। সারাদেশ থেকে তালিকা সংগ্রহ চলছে।
জানা গেছে, অধিকাংশ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদেই প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। বিএনপির উপজেলার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হলেও হলফনামায় নিজেদের স্বতন্ত্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বহিষ্কৃৃত কোন কোন নেতা বলছেন, ভোটের মাঠ তাদের পক্ষে আছে, তাই নির্বাচিত হলে সংগঠন থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বারবার নিষেধ করার পরও বিভিন্ন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হলেও তা অগ্রাহ্য করেন। এছাড়া কোনো কোনো নেতা অন্য দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেন। ফলে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে দলের সর্বস্তরের পদ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
মেহেরপুর কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গতকাল এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিএনপি’র মেহেরপুর জেলা কমিটি ইতিপূর্বে স্থগিত করা হয়েছিল। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুন এবং সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনসহ ১৮৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে।