ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। বুধবার বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বলন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাত ফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম দেয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাজধানীর সবুজবাগে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে প্রভাত ফেরি ও শান্তি শোভাযাত্রার আয়োজন করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ। এতে অংশ নেন হাজারো বুদ্ধ ভক্তরা। বুদ্ধের বাণীকে ধারণ করে মৈত্রী ও করুণায় সিক্ত হবে মানবতা, এমন আহ্বান সম্প্রদায়ের নেতাদের।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীর বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি শুদ্ধানন্দ মহাথেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া ও ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুওয়ানাপংস বক্তব্য রাখেন।
সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ ‘শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব-২০১৭’ এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান শান্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটেও নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
ইত্তেফাক