জাতীয় ডেস্কঃ
জাতীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশ জনকে এবারে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, গবেষণা, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২১ জনকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে দুজনকে দেওয়া হবে মরণোত্তর পদক।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য।
একই কারণে প্রয়াত অধ্যাপক হালিমা খাতুন ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামকেও এবার এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আর ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এবার একুশে পদক পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য।
প্রয়াত পপ শিল্পী আজম খান ও নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সঙ্গে এবার সংগীত বিভাগে এ পুরস্কার পাচ্ছেন গায়ক সুবীর নন্দী।
সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকী একুশে পদক পাচ্ছেন অভিনয়ের জন্য।
দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে অবদানের জন্য এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলায় এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
গবেষণায় বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় প্রণব কুমার বড়ুয়াকে এ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পাচ্ছেন।
পদক প্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননা পত্র দেওয়া হবে।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।