ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হার বাংলাদেশের

 খেলাধূলা:

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই যেন অচেনা বাংলাদেশ। বাজে ব্যাটিংয়ের পর সাদামটা বোলিং ও ফিল্ডিং মিসের কারণে হারের ব্যবধানটাও তাই বড়। রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯১ রানে। টানা দুই ম্যাচে হারের কারণে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেল বাংলাদেশের।

অন্যদিকে, ৪৪ মাস পর ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল লঙ্কানরা। এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল লঙ্কানরা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জুলাই (বুধবার)।

এদিন কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশের দেয়া ২৩৯ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। স্বাগতিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন অভিশকা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেটটি শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২তম ওভারে অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেকে বোল্ড করেন তিনি। ২৯ বলে ১৫ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। বাংলাদেশ যখন শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি ভাঙে তখন স্বাগতিদের সংগ্রহ ছিল ৭১ রান।

করুণারত্নে ফেরার পর ৫৮ রানের জুটি গড়েন অভিশকা ফার্নান্দো ও কুশল পেরেরা। ২১তম ওভারে সেট ব্যাটসম্যান অভিশকা ফার্নান্দোকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মোস্তাফিজ। তামিমের হাতে ধরা পড়েন এই লঙ্কান ওপেনার। ফেরার আগে ৭৫ বলে ৯টি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রান করেন তিনি।

অভিশকাকে ফেরানোর পর কুশল পেরেরাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫তম ওভারে শর্ট কাভারে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩৪ বলে ৩০ রান করেন কুশল পেরেরা। এরপর কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৯৬ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে এটি তার ৩৭তম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগের ম্যাচেও তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে নুয়ান প্রদীপ ২টি, ইসুরু উদানা ২টি ও আকিলা ধনঞ্জয়া ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৭ উইকেটে জয়ী শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ ইনিংস: ২৩৮/৮ (৫০ ওভার)

(তামিম ১৯, সৌম্য ১১, মিথুন ১২, মুশফিক ৯৮*, রিয়াদ ৬, সাব্বির ১১, মোসাদ্দেক ১৩, মিরাজ ৪৩, তাইজুল ৩, মোস্তাফিজুর ২*; ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ০/৩৯, প্রদীপ ২/৫৩, উদানা ২/৫৮, লাহিরু কুমারা ০/৪২, আকিলা ধনঞ্জয়া ২/৩৯)।

শ্রীলঙ্কা ইনিংস: ২৪২/৩ (৪৪.৪ ওভার)

(ফার্নান্দো ৮২, করুণারত্নে ১৫, কুশল পেরেরা ৩০, কুশল মেন্ডিস ৪১*, ম্যাথুজ ৫২*; মিরাজ ১/৫১, শফিউল ০/২৯, তাইজুল ০/৩৫, মোস্তাফিজুর ২/৫০, মোসাদ্দেক ০/৩২, সাব্বির ০/২০, সৌম্য ০/১৬)।

ম্যাচ সেরা: অভিশকা ফার্নান্দো (শ্রীলঙ্কা)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হার বাংলাদেশের

আপডেট সময় ০৬:৩০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯
 খেলাধূলা:

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই যেন অচেনা বাংলাদেশ। বাজে ব্যাটিংয়ের পর সাদামটা বোলিং ও ফিল্ডিং মিসের কারণে হারের ব্যবধানটাও তাই বড়। রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯১ রানে। টানা দুই ম্যাচে হারের কারণে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেল বাংলাদেশের।

অন্যদিকে, ৪৪ মাস পর ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল লঙ্কানরা। এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল লঙ্কানরা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জুলাই (বুধবার)।

এদিন কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশের দেয়া ২৩৯ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। স্বাগতিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন অভিশকা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মেন্ডিস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেটটি শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২তম ওভারে অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেকে বোল্ড করেন তিনি। ২৯ বলে ১৫ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। বাংলাদেশ যখন শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি ভাঙে তখন স্বাগতিদের সংগ্রহ ছিল ৭১ রান।

করুণারত্নে ফেরার পর ৫৮ রানের জুটি গড়েন অভিশকা ফার্নান্দো ও কুশল পেরেরা। ২১তম ওভারে সেট ব্যাটসম্যান অভিশকা ফার্নান্দোকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মোস্তাফিজ। তামিমের হাতে ধরা পড়েন এই লঙ্কান ওপেনার। ফেরার আগে ৭৫ বলে ৯টি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রান করেন তিনি।

অভিশকাকে ফেরানোর পর কুশল পেরেরাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫তম ওভারে শর্ট কাভারে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩৪ বলে ৩০ রান করেন কুশল পেরেরা। এরপর কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৯৬ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে এটি তার ৩৭তম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগের ম্যাচেও তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে নুয়ান প্রদীপ ২টি, ইসুরু উদানা ২টি ও আকিলা ধনঞ্জয়া ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৭ উইকেটে জয়ী শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ ইনিংস: ২৩৮/৮ (৫০ ওভার)

(তামিম ১৯, সৌম্য ১১, মিথুন ১২, মুশফিক ৯৮*, রিয়াদ ৬, সাব্বির ১১, মোসাদ্দেক ১৩, মিরাজ ৪৩, তাইজুল ৩, মোস্তাফিজুর ২*; ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ০/৩৯, প্রদীপ ২/৫৩, উদানা ২/৫৮, লাহিরু কুমারা ০/৪২, আকিলা ধনঞ্জয়া ২/৩৯)।

শ্রীলঙ্কা ইনিংস: ২৪২/৩ (৪৪.৪ ওভার)

(ফার্নান্দো ৮২, করুণারত্নে ১৫, কুশল পেরেরা ৩০, কুশল মেন্ডিস ৪১*, ম্যাথুজ ৫২*; মিরাজ ১/৫১, শফিউল ০/২৯, তাইজুল ০/৩৫, মোস্তাফিজুর ২/৫০, মোসাদ্দেক ০/৩২, সাব্বির ০/২০, সৌম্য ০/১৬)।

ম্যাচ সেরা: অভিশকা ফার্নান্দো (শ্রীলঙ্কা)।