ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতেই আছেন খালেদা: ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ

করোনা পরবর্তী অবস্থা থেকে মুক্ত হলেও পুরনো কিছু রোগের জটিলতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এ কথা বলেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে পোস্ট কোভিডের থেকে উনি মোটামুটি বেটার। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো উদ্বেগজনক। তার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। এই দুটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, উন্নত সেন্টারগুলো আছে- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার (খালেদা জিয়া) এডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি।’

খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তর আমরা আগেও দিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সরকার আরও বেশি আগ্রাসী পথ অবলম্বন করে বিরোধীদলকে দমন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের মধ্যেও বাগাড়ম্বর বক্তব্য দেওয়া ছাড়া সরকার জনকল্যাণে কোনো কাজ না করে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর বেপরোয়া গতিতে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে গিয়েও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরকারের সাঁড়াশি আক্রমণে পড়তে হয়েছে। ২০২১ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তারের হিড়িক শুরু হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে মুখ খুলতে না পারে সেজন্যই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালানোকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়েছে সরকার। নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম-খুন ইত্যাদি অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে দেশকে তারা কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতেই আছেন খালেদা: ফখরুল

আপডেট সময় ১১:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

করোনা পরবর্তী অবস্থা থেকে মুক্ত হলেও পুরনো কিছু রোগের জটিলতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এ কথা বলেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে পোস্ট কোভিডের থেকে উনি মোটামুটি বেটার। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো উদ্বেগজনক। তার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। এই দুটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, উন্নত সেন্টারগুলো আছে- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার (খালেদা জিয়া) এডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি।’

খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তর আমরা আগেও দিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সরকার আরও বেশি আগ্রাসী পথ অবলম্বন করে বিরোধীদলকে দমন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের মধ্যেও বাগাড়ম্বর বক্তব্য দেওয়া ছাড়া সরকার জনকল্যাণে কোনো কাজ না করে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর বেপরোয়া গতিতে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে গিয়েও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরকারের সাঁড়াশি আক্রমণে পড়তে হয়েছে। ২০২১ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তারের হিড়িক শুরু হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে মুখ খুলতে না পারে সেজন্যই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালানোকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়েছে সরকার। নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম-খুন ইত্যাদি অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে দেশকে তারা কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল প্রমুখ।