মো: মোশাররফ হোসেন মনির, ১২ ডিসেম্বর (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
২২ টি ইউনিয়ন, ৩১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৩, মুরাদনগরের সংসদীয় আসন। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলাটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে সম্পুন্নই ভিন্ন। ঐতিহ্যের চারন ভুমি মুরাদনগরের মানুষ অত্যান্ত সহজ সরলমনা ও ধর্মভীরু । বিশাল এ জনপদের সাধারন মানুষকে চরম ভালবাসা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাই নয়, প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন ৫ বারের নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ। তার একক নেতৃত্বের বদৌলতে গড়ে উঠা মুরাদনগরের বিএনপি এখন কঠিন ইস্পাতের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ। মুরাদনগর বাসীর অত্যন্ত প্রিয় মুখ এমপি কায়কোবাদ ।
তিনি মুরাদনগরের লাক্ষ লাক্ষ মানুষের আস্থা ভালবাসা অর্জন করে সংসদে এ জনপদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পাঁচবার। যোগ্যতার মাপকাটি সাংগঠনিক দক্ষতা মেধা তাকে নিয়ে গেছে বর্তমানে জাতীয় নেতার কাতারে। তিনি এখন দেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান। মুরাদনগরের সকল সভ্যতা ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে রয়েছে যার অস্তিত্ব। এক কালের গায়ের মেঠু পথ থেকে যোগাযোগ ব্যাবস্থার এ কর্মকান্ডের দিকে তাকালেই ভেসে উঠে যার প্রতিচ্ছবি।
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জিবনের শুরু থেকে ষড়যন্ত্র যার জিবন সঙ্গী। এক কথায় বলা যায় ষড়যন্ত্রের ভেড়াজালের মধ্য দিয়ে চলছে তার জিবন যুদ্ধ। তার এ বিপুল জনপ্রিতাই তার জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুরাদনগরের আর্তপীড়িত মানুষের কল্যানে রাজনৈতিক অঙ্গনে পদার্পনের পর থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করলেও সাম্প্রতিককালে ষড়যন্ত্রের ভেড়াজালে চলছে যার জিবন যুদ্ধ। রাজনৈতিক জিবনের শুরুতেই নানান চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে এ পর্যন্ত এলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতার মসনদে বসার পর থেকেই একটি প্রভাবশালী কুচক্রী মহল তার পিছু লেগেছে। তিনি যখন অসুস্থ হয়ে দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য সে সময়ে, ষড়যন্ত্র করে তাকে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মত একটি স্পর্শকাতর মামলায় জরিয়ে দিয়ে মুরাদনগরের উন্নয়নকেই শুধু ব্যাহত করেনি, বঞ্চিত করেছে সাধারন নিপিড়িত মানুষকে, অশ্রু জড়াচ্ছে তার লাখ লাখ ভক্ত বৃন্দের। তবুও থেমে নেই টেলিফোনে মুরাদনগরের সাধারন মানুষের কোন সমস্যার কথা শুনলেই নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নিজস্ব উদ্যোগে নিপিড়িত মানুষের সমস্যা সমাধানের ব্যাবস্থা করেন। মুরাদনগরের উন্নয়নের রূপকার ও আধুনিক মুরাদনগরের স্থপতি আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ মুরাদনগরের সর্বস্তরের জনগনের অন্তর জুড়ে মিশে থাকলেও স্বার্থান্বেষী একটি প্রভাবশালী চক্র সরকারের বিভিন্ন মহলের সাথে আতাত করে তার অনুপস্থিতিতে স্পর্শকাতর একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সমৃক্ত করে দিয়েছে।
যাকে এক নজর দেখার জন্য মুরাদনগরের সর্বস্তরের জনগন অধিক আগ্রহে শুধু অপেক্ষাই নয় রিতিমত পাগল প্রায় হয়ে আছে। আবাল বৃদ্ধা বনিতা থেকে শুরু করে উপজেলা বাসীর একটাই দাবী তাদের প্রিয় নেতাকে কাছে পাওয়া। বলতে গেলে এটি এখন মুরাদনগর বাসীর একটি সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। তাকে এ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে মুরাদনগরের সর্বস্তরেই চলছে ক্ষোভ আর হতাশা। সবকিছুকে জয় করে তিনি মুরাদনগরের লাখো ভক্তের মাঝে ফিরে আসবেন তিনি এটাই প্রত্যাশা সকলের। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন।
তার নিকটজনরা জানান, অচিরেই তিনি দেশে ফিরে মুরাদনগরে আসবেন। আধুনিক মুরাদনগর উপজেলা গঠনের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে রয়েছে তার নিপুন হাতের ছোঁয়া। তিনি এখন চরম অসুস্থ সিঙ্গাপুর ব্যাংকক সহ কয়েকটি দেশের ডাক্তারদের সমন্বয়ে চলছে তার উন্নত চিকিৎসা। তার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি ধর্নাঢ্য ফ্যাসিষ্ট কুচক্রি মহল সরকারের ভিতরের একটি চক্রের সাথে ষড়যন্ত্র করে তাকে একটি স্পর্শকাতর মামলায় সম্পৃক্ত করলেও মুরাদনগরের জনগন তাকে ছাড়া বিকল্প কোন কিছু ভাবতে মোটেও রাজী নয়। জিবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত অতিবাহিত করে তিনি এখন বিদেশে চিকিৎসাধীন তার পরেও থেমে নেই তার জনসেবা মানবসেবা। মুরাদনগরের যেকোন প্রত্যন্ত অঞ্চলের আর্তপীড়িত নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের খবর পেয়ে যান তিনি সাংবাদিকদের আগেই । মাঝে মধ্যে আশ্চর্য হয়ে যাই এ কি করে সম্ভব , এতো চোখ কান খুলা রেখেও আমরা জানার আগেই তিনি বিদেশে বসে মুরাদনগরের সর্বস্তরের জনগনের সুখ দুঃখের খবর জেনে ফেলে। তাই বলি মুরাদনগরের মানুষ তার জন্য কেন এতো পাগল। ১৯৮৬ সালে কায়কোবাদ প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অরক্ষিত অবহেলিত মুরাদনগরকে উন্নয়নের মডেলে পরিনত ও রূপান্তর করার সেই বীরসেনা উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ৩১৫টি গ্রামের উন্নয়ন করে উপজেলাটিকে একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা হিসেবে দাড় করিয়েছেন তিনি নিজের মতো করে।