জাতীয় ডেস্কঃ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক গণফোরামের দুই প্রার্থী শপথ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমাদের ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল, আমরা যেহেতু এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছি অতএব বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের কেউ নির্বাচনে যাবে না। এটা বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। এখন ঐক্যফ্রন্টের দুইজন সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। গণফোরাম তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। আমরা শুনেছি তারা সংসদে অংশগ্রহণ করবে। তখন আমরা আমাদের যে বিধি-বিধান আছে এবং ঐক্যফ্রন্টের যে সিদ্ধান্ত আছে সেই প্রেক্ষাপটে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গণফোরামের দুই প্রার্থীর শপথ নিলে বিএনপিতে কোনো টানাপোড়েন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এতো আগে বলা যাবে না। আমরা একটা বড় টার্গেট করে ঐক্যফ্রন্ট করেছি। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল একটা প্রধান এবং বৃহত্তর দল। অতএব এ ব্যাপারে আমি বিশ্বাস করি যদি কেউ সংসদে যায় ঐক্যফ্রন্টের কোনো ক্ষতি হবে না।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে সরকার যে অবস্থায় রেখেছে, আবার যদি বৃদ্ধি করে তাহলে এটা মরার ওপর খাড়ার ঘা হবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ড. মোশাররফ বলেন, আগামী ৫মে উপজেলা নির্বাচন হবে আমরা শুনতে পাচ্ছি এখানে নির্বাচন কমিশন ৯ কোটি টাকার উপরে বাজেট করেছে। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে ৪ কোটি টাকার উপরে বাজেট ছিল। আমরা বলতে চাই একাদশ জাতীয় নির্বাচন দেখে জনগণের ভোটের প্রতি যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাতে জনগণ আর এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখে না। তাই বিএনপি এই নির্বাচনকে বয়কট করেছে। নৌকায় যারা নমিনেশন পাবে তারাই নির্বাচিত। এখানে তো ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাই আমি মনে করি নতুন করে জনগণের ৯কোটি টাকা খরচ করার প্রয়োজন নাই। তাই জনগণের এই টাকা অযথা ব্যয় না করবার জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাব।
তিনি বলেন, যেহেতু নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থী নাই, সেহেতু নৌকার প্রার্থীকে ঘোষণা করে দিলেই নির্বাচনের নাটক শেষ হয়ে যায়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, আলহাজ মো. নাজিমুদ্দিন মাস্টার, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, এস কে সাদী, মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।