ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার নাটকীয় জয়

খেলাধূলা :

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দিমুথ করুণারত্নের দল।

জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় স্বাগতিকদের। উদ্বোধনী জুড়িতে মাত্র ১৮ ওভারে আসে ১১১ রান। তবে করুণারত্নে ফেরার পরই ধস নামে লংকান শিবিরে। একপর্যায়ে ২১৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এর আগে করুণারত্নে ৫২, আভিষ্কা ফার্নান্দো ৫০ ও কুশল পেরেরা ৪২ রান করেন। দলীয় ২৬২ রানে শ্রীলংকার অষ্টম উইকেটের পতন হলে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ক্যারিবীয়রা। সেখান থেকে লক্ষণ সান্দাকানকে নিয়ে এগোতে থাকেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

শেষ ওভারে লংকানদের প্রয়োজন ছিল ১ রান। কিমো পলের করা প্রথম বলেই রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন সান্দাকান। তবে পরের বলেই রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান হাসারাঙ্গা। ম্যাচ শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। উইন্ডিজের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন আলঝারি জোসেফ। এছাড়া কিমো পল ও ওয়ালশ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এরআগে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক করুণারত্নে। শুরুতেই সুনীল অ্যামব্রিসের উইকেট হারালেও শেই হোপ ও ড্যারেন ব্র্যাভোর ৭৭ রানের জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে উইন্ডিজরা। ৩৯ রানে ব্র্যাভো ফিরলে রস্টন চেসের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন হোপ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪০ বলে ১১৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষদিকে কিমো পল ও হেইডেন ওয়ালশের ২০ বলে ৪৯ রানের জুটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পল ১৭ বলে ৩২ ও ওয়ালশ ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। লংকানদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন ইসুরু উদানা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার নাটকীয় জয়

আপডেট সময় ০২:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খেলাধূলা :

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দিমুথ করুণারত্নের দল।

জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় স্বাগতিকদের। উদ্বোধনী জুড়িতে মাত্র ১৮ ওভারে আসে ১১১ রান। তবে করুণারত্নে ফেরার পরই ধস নামে লংকান শিবিরে। একপর্যায়ে ২১৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এর আগে করুণারত্নে ৫২, আভিষ্কা ফার্নান্দো ৫০ ও কুশল পেরেরা ৪২ রান করেন। দলীয় ২৬২ রানে শ্রীলংকার অষ্টম উইকেটের পতন হলে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ক্যারিবীয়রা। সেখান থেকে লক্ষণ সান্দাকানকে নিয়ে এগোতে থাকেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

শেষ ওভারে লংকানদের প্রয়োজন ছিল ১ রান। কিমো পলের করা প্রথম বলেই রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন সান্দাকান। তবে পরের বলেই রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান হাসারাঙ্গা। ম্যাচ শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। উইন্ডিজের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন আলঝারি জোসেফ। এছাড়া কিমো পল ও ওয়ালশ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এরআগে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক করুণারত্নে। শুরুতেই সুনীল অ্যামব্রিসের উইকেট হারালেও শেই হোপ ও ড্যারেন ব্র্যাভোর ৭৭ রানের জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে উইন্ডিজরা। ৩৯ রানে ব্র্যাভো ফিরলে রস্টন চেসের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন হোপ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪০ বলে ১১৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষদিকে কিমো পল ও হেইডেন ওয়ালশের ২০ বলে ৪৯ রানের জুটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পল ১৭ বলে ৩২ ও ওয়ালশ ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। লংকানদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন ইসুরু উদানা।