ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েই দিলেন রাহুল

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাহুল গান্ধী। পদত্যাগপত্রে ভারতের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের দায়িত্বভার নেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

এর আগেই তিনি পদত্যাগ করার আগ্রহের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা আশা করছিলেন যে, তিনি সেই সিদ্ধান্ত বদল করবেন।

রাহুল গান্ধীর পিতা, দাদি এবং দাদির পিতা সবাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, যদিও ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি নিয়ে তার কোনো ‘’ঘৃণা বা ক্ষোভ’’ নেই, কিন্তু ভারত নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টিকে তার শরীরের প্রতিটি কোষ বিরোধিতা করে, যা বিভেদ ও ঘৃণার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যে, ‘’শুধু একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হয়নি …ভারত রাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থার সঙ্গ আমাদের লড়তে হয়েছে।’

সর্বশেষ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ব্যাপক বিজয় পেয়েছে। তাদের এই বিপুল বিজয় বিরোধী দল ও পণ্ডিতদের হতবাক করে তুলেছে, যারা আশা করেছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে পার্থক্য হবে সামান্য।

২০১৪ সালের নির্বাচনে যখন কংগ্রেস শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়, তখনো দলটির সামনে ছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসনে জয় পায়। এ বছর তারা আসন পেয়েছে ৫২টি।

উত্তর প্রদেশে তাদের পারিবারিক আসন আমেথির আসনেও পরাজিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। যদিও কেরালা রাজ্যের একটি আসনে জয় পাওয়ায় এমপি হয়েছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী নেতৃত্বে দলটি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে তুলেছে। যদিও এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে বিজেপি। -বিবিসি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েই দিলেন রাহুল

আপডেট সময় ০৬:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাহুল গান্ধী। পদত্যাগপত্রে ভারতের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের দায়িত্বভার নেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

এর আগেই তিনি পদত্যাগ করার আগ্রহের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা আশা করছিলেন যে, তিনি সেই সিদ্ধান্ত বদল করবেন।

রাহুল গান্ধীর পিতা, দাদি এবং দাদির পিতা সবাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, যদিও ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি নিয়ে তার কোনো ‘’ঘৃণা বা ক্ষোভ’’ নেই, কিন্তু ভারত নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টিকে তার শরীরের প্রতিটি কোষ বিরোধিতা করে, যা বিভেদ ও ঘৃণার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যে, ‘’শুধু একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হয়নি …ভারত রাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থার সঙ্গ আমাদের লড়তে হয়েছে।’

সর্বশেষ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ব্যাপক বিজয় পেয়েছে। তাদের এই বিপুল বিজয় বিরোধী দল ও পণ্ডিতদের হতবাক করে তুলেছে, যারা আশা করেছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে পার্থক্য হবে সামান্য।

২০১৪ সালের নির্বাচনে যখন কংগ্রেস শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়, তখনো দলটির সামনে ছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসনে জয় পায়। এ বছর তারা আসন পেয়েছে ৫২টি।

উত্তর প্রদেশে তাদের পারিবারিক আসন আমেথির আসনেও পরাজিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। যদিও কেরালা রাজ্যের একটি আসনে জয় পাওয়ায় এমপি হয়েছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী নেতৃত্বে দলটি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে তুলেছে। যদিও এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে বিজেপি। -বিবিসি