জাতীয় ডেস্কঃ
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৩ জনে। এছাড়া নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ হাজার ৮৬৩ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৬৬জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৭ হাজার ৮৩৭টি। এর মধ্যে ঢাকার মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৬টি। ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৮৮১টি। সব মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৯২টি। এর মধ্যে ঢাকার ল্যাবে ৭৫৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। আর ঢাকার বাইরের ল্যাবে ২৮৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪১জন। আর ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৪জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১জন ও নারী ৩ জন।
তিনি আরও বলেন, নতুন ৬৬জন সুস্থসহ মোট ৩ হাজার ৪২৭জন সুস্থ হয়েছেন। এর ফলে দেশে করোনা শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ১৯.১০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করবেন। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাবেন ও ফুসফুসের ব্যায়াম করবেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জন। অপরদিকে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।