আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের নতুন কিছু উপসর্গের কথা জানাল মার্কিন শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষক সংস্থা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলছে করোনার যে উপসর্গগুলোর তালিকা এতদিন জানা গেছে, তার সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ যোগ হয়েছে ।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সামান্য থেকে গুরুতর অসুস্থতায় একাধিক লক্ষণ থাকে। এই লক্ষণগুলি আক্রান্ত হওয়ার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দেখা দেয় বলে সিডিসি-র ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে। নতুন উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে শীতশীত অনুভূতি, বারেবারে শীতে কাঁপুনি, পেশীর যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারানো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবপেজে তালিকায় করোনার এই উপসর্গগুলো নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবপেজে যে উপসর্গগুলো রয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, ব্যথা ও যন্ত্রণা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলা ব্যথা ও ডায়েরিয়া। যে উপসর্গগুলো সিডিসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উভয়েরই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি হল জ্বর, কাশি, নিঃশ্বাসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট।
করোনায় শিশুদের বিরল ও নতুন কিছু উপসর্গ:
যুক্তরাজ্যে শিশুদের মধ্যে করোনার বিরল উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির চিকিৎসকরা। এর মধ্যে পাকস্থলীতে ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়াসহ বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। তবে কত সংখ্যক শিশুর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তা স্পষ্ট করেননি বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের ত্বকের রং পালটে গিয়ে লাল বর্ণ ধারণ করা ও ফুলে যাওয়া। পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে এই ধরণের লাল ফোলা ভাব দেখা দিচ্ছে। মার্চ মাসে ইটালির কিছু বিজ্ঞানীও এই উপসর্গ লক্ষ্য করেন। অনেকটা ফ্রস্টবাইট ধরণের এই উপসর্গের উল্লেখ করেন তারাও।
এছাড়াও বেশ কিছু নতুন উপসর্গ সামনে আসছে। চোখ গোলাপি রংয়ের হয়ে যাওয়া ও ব্যথা করা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ বলে ধরছেন চিকিৎসকরা। প্রত্যেকদিনই নতুন কিছু শিখছেন চিকিৎসকরা, কারণ চরিত্র বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস।
গত মাসে আমেরিকার কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা ভাইরাল কংজাইটিভাইটিসের মত লক্ষণ। গবেষকরা জানিয়েছেন আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিন পরে এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে।