ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় আরও ১৩২ মৃত্যু, শনাক্তের হার বেড়ে ২৮.২৭

জাতীয় ডেস্কঃ

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন আরও ১৩২ জন, যা মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে টানা ছয় দিন দেশে শতাধিক মৃত্যু হলো করোনায়।

এদিকে শনাক্ত আজও আট হাজারের উপরে। গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন। এক দিনে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে আগেরদিনের তুলনায়। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮.২৭ শতাংশ। গতকাল ছিল ২৫.৯০ শতাংশ।

শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৪৮৩ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এছাড়া গত এক দিনে মারা গেছেন ১৩২ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। বৃহস্পতিবার ১৪৩ জন মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭৭৮ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ এবং ৫১ জন নারী। এদের মধ্যে ৬৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩০, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৪ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন রয়েছেন।

গত এক দিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৫ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৩০, চট্টগ্রামে ২৪, রাজশাহীতে ২৪, বরিশালে ২, সিলেটে ২, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের জারি করেছে সরকার।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

করোনায় আরও ১৩২ মৃত্যু, শনাক্তের হার বেড়ে ২৮.২৭

আপডেট সময় ০১:০১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন আরও ১৩২ জন, যা মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে টানা ছয় দিন দেশে শতাধিক মৃত্যু হলো করোনায়।

এদিকে শনাক্ত আজও আট হাজারের উপরে। গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন। এক দিনে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে আগেরদিনের তুলনায়। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮.২৭ শতাংশ। গতকাল ছিল ২৫.৯০ শতাংশ।

শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৪৮৩ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এছাড়া গত এক দিনে মারা গেছেন ১৩২ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। বৃহস্পতিবার ১৪৩ জন মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭৭৮ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ এবং ৫১ জন নারী। এদের মধ্যে ৬৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩০, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৪ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন রয়েছেন।

গত এক দিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৫ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৩০, চট্টগ্রামে ২৪, রাজশাহীতে ২৪, বরিশালে ২, সিলেটে ২, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের জারি করেছে সরকার।