ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাবুল বিমানবন্দরে নিহত ১২, ঘরে ফেরার আহ্বান তালেবানের

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কাবুল বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান ও ন্যাটো। সেখানে ভিড় করা লোকদের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের বৈধতা যাদের নেই তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। খবর রয়টার্সের।

রবিবার তালেবান কাবুল দখল করে নেয়ার পর হাজার হাজার আফগান দেশ ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে জড়ো হয়। সেই ঘটনার তিন দিন পর লোকের ভিড় কিছুটা কমলেও এখনও অনেক লোক সেখানে অবস্থান করছেন।

তালেবানের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, বন্দুকের গুলিতে বা ভিড়ের মধ্যে চাপাচাপিতে এসব লোকের মৃত্যু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তালেবান নেতা বলেন, আমরা বিমানবন্দরে কাউকে আঘাত করতে চাই না।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও তাদের আফগান সহকর্মীদের দ্রুত কাবুল থেকে সরিয়ে আনার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিমানবন্দরের প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ করা তালেবান যোদ্ধারা বিমানবন্দরের দিকে জনস্রোত ছত্রভঙ্গ করতে আকাশে গুলি ছুঁড়েছে। কাগজপত্র ছাড়া তারা কাউকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তবে আমেরিকার পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের অনুমতি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

অন্তত পনেরটি দেশ কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে কাবুলে বিমান পাঠিয়েছে। আমেরিকান, ফরাসি, ডাচ, জার্মান, স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ উড়োজাহাজগুলো গত কয়েক ঘণ্টায় সেখান থেকে ছেড়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এখন বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা চলতি মাসের মধ্যেই অন্তত ত্রিশ হাজার ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

কাবুল বিমানবন্দরে নিহত ১২, ঘরে ফেরার আহ্বান তালেবানের

আপডেট সময় ১০:১৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কাবুল বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান ও ন্যাটো। সেখানে ভিড় করা লোকদের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের বৈধতা যাদের নেই তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। খবর রয়টার্সের।

রবিবার তালেবান কাবুল দখল করে নেয়ার পর হাজার হাজার আফগান দেশ ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে জড়ো হয়। সেই ঘটনার তিন দিন পর লোকের ভিড় কিছুটা কমলেও এখনও অনেক লোক সেখানে অবস্থান করছেন।

তালেবানের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, বন্দুকের গুলিতে বা ভিড়ের মধ্যে চাপাচাপিতে এসব লোকের মৃত্যু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তালেবান নেতা বলেন, আমরা বিমানবন্দরে কাউকে আঘাত করতে চাই না।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও তাদের আফগান সহকর্মীদের দ্রুত কাবুল থেকে সরিয়ে আনার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিমানবন্দরের প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ করা তালেবান যোদ্ধারা বিমানবন্দরের দিকে জনস্রোত ছত্রভঙ্গ করতে আকাশে গুলি ছুঁড়েছে। কাগজপত্র ছাড়া তারা কাউকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তবে আমেরিকার পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের অনুমতি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

অন্তত পনেরটি দেশ কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে কাবুলে বিমান পাঠিয়েছে। আমেরিকান, ফরাসি, ডাচ, জার্মান, স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ উড়োজাহাজগুলো গত কয়েক ঘণ্টায় সেখান থেকে ছেড়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এখন বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা চলতি মাসের মধ্যেই অন্তত ত্রিশ হাজার ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।