মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:
কুমিল্লায় একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পওেয়া গেছে।
সোমবার বিকালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮৩ জন নতুনসহ ১ হাজার ৫৮০ জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তি প্রবাসী। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশে এসেছেন।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার সিভিলে সার্জন ডাঃ মোঃ নিয়াতুজ্জামান জানান, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন ৫৮৩ জনসহ ১৫৮০ জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছয়জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ জন। আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলেও জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন ভারত এবং আরেকজন বাহরাইন থেকে এসেছেন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে একজন চিকিৎসক এবং দুজন নার্সও রয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লা জেলায় হোম কোয়ান্টাইনে যাওয়া ব্যাক্তির সংখ্যা ১ হাজার ৫শ’ ৮৩ জন। হোম কোয়ান্টাইনে থাকা ৮৪ জনকে নতুন করে ছাড়পত্র দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ান্টাইনে উপজেলা বিত্তিক হোম কোয়ান্টাইনে রয়েছেন, মুরাদনগর উপজেলায় ৩৭ জন, তিতাসে ২৭৫ জন, দাউদকান্দিতে ১৫৩ জন, বরুড়ায় ২২ জন, লাকশামে ১৮ জন, নাঙ্গলকোট ১৭ জন, বুড়িচং ১৩ জন, চান্দিনায় ১০ জন, দেবিদ্বারে ৬ জন, মনোহরগঞ্জ ৬ জন, বি-পাড়া ৫ জন, সদর দক্ষিন ৫ জন, মেঘনা ৪ জন, আদর্শ সদর ৩ জন, লালমািই ৩ জন, হোমনায় ২ জন, চৌদ্দগ্রামে ১ জন। তারা সকলেই বিদেশ ফেরত।
গত কয়েক দিনে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন, মুরাদনগর ৩৭৬ জন, তিতাসে ৩৪৫ জন, দাউদকান্দিতে ১৮৮ জন, বরুড়ায় ৫০ জন, লাকসামে ৮৩ জন, বুড়িচং ৩৭ জন, চান্দিনায় ৩৪ জন, দেবিদ্বারে ৪২ জন, মনোহরগঞ্জ ৮৮ জন, বি-পাড়া ৩০ জন, সদর দক্ষিন ৬০ জন, মেঘনা ২৮ জন, আদর্শ সদর ৩০ জন, লালমাই ৪৪ জন, হোমনায় ২৭ জন, চৌদ্দগ্রামে ১৫ জন জন।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো: নিয়াজ্জামান জানান, আগে শুধুমাত্র বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা হোম কোয়ান্টাইনে গিয়েছিল। বর্তমানে বিদেশ ফেরত ব্যত্তিদের সকল সদস্যরা হোম কোয়ান্টাইনে যাওয়ার কারনে এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ার কারনেও মূলত হোম কোয়ান্টাইনে যওেয়ার পরিমান বাড়ছে।