জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লাঃ
হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো.তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা।
বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মো.দেলোয়ার হোসেন ফারুক রাজধানীর পল্লবী থানায় এই জিডি করেন। ফারুক লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মো.দিদার হোসেন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে জিডিতে এমপির ঠিকানা উল্লেখ করা হলেও সংসদ সদস্য পদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
জিডিতে দেলোয়ার হোসেন ফারুক এমপি মো.তাজুল ইসলামের ঢাকার এবং গ্রামের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমার প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে জানতে পারলাম। সে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয় সদস্য নিজেকে পেশাদার খুনী দাবি করে নাম অজ্ঞাত রেখে আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলে- তাজুল স্যার নির্দেশ দিয়েছে, তুই যদি তাজুল স্যারের পথে কোন বাধা সৃষ্টি করিস তাহলে তোকে খুন করার আদেশ দিয়েছে তাজুল স্যার। তাই, তোকে একটা সুযোগ দিচ্ছি, তাজুল স্যারের পথে কোন বাধা সৃষ্টি করবি না। তাজুল স্যারের ক্ষমতা এবং টাকা দু’টোই আছে। তোর মতো ছেলে এর আগেও সে হজম করে ফেলেছে।’
জিডিতে এসব কথা উল্লেখের পর ফারুক লিখেন, ‘এ ঘটনায় আমি মারাত্মক আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছি এবং স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছি না। যে কোন সময় তাদের দ্বারা আমার জীবননাশসহ জানমালের যে কোন প্রকার গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য মো.তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই জিডির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আর আমি তাকে হুমকি দেব কেন? আমি তাকে কোন হুমকি দেইনি।
এ ব্যাপারে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর পল্লবী থানায় উপ-পরিদর্শক মো.দিদার হোসেন বলেন, যেকোন ব্যক্তির আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ফারুকের ওই জিডির তদন্ত চলছে।