কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া একজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো.কায়সার হামিদ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটক শহিদুর রহমান সজিব নগরীর মুরাদপুর মৌলভীপাড়া এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা বিদ্যুৎ অফিস গলিতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়।
মহড়া চলাকালে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তির হাতে একটি বিদেশি পিস্তল দেখা গেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের হাতে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দেখা গেছে। এ ঘটনার ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ভিডিওর শেষাংশে শহিদুর রহমান সজিবকেও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মহড়া চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক। তিনি নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা পশ্চিম পাড়া এলাকার মালু মিয়ার ছেলে। তার নেতৃত্ব প্রথমে হামলা চালানো হয় গর্জনখোলা পূর্বপাড়া বিদ্যুৎ অফিস গলি এলাকার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ রবিন আহমেদ ও জালাল উদ্দিনের লোকজনের ওপর। রবিন ওই এলাকার মাহে আলমের ছেলে। আর জালাল একই এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই অবস্থা। রবিন আহমেদ ও জালাল দু’জনই স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। আর আবদুর রাজ্জাক বিএনপির কর্মী।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির মো.কায়সার হামিদ বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- ঘটনার সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্রই (পিস্তল) রাজ্জাক ও সজিবের হাতে ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।