মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগ নেতারা ২ জনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটক হওয়া দু’জন হলেন- কাপড়িয়াপট্টি এলাকার রায়হান ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের মালিক খোরশেদ আলম ও মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান।
আহতরা হলেন- শিবির কর্মী আব্দুর রহমান, রাশেদ, ইলিয়াস, জসিম, সোহাগ, কাপড়িয়াপট্টি এলাকার রায়হান ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের মালিক খোরশেদ ও মহানগর জামায়াতের সহাকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে।
এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী।
এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কাপড়িয়াপট্টি এলাকার রায়হান ইলেক্ট্রনিক্স দোকানটি ভাঙচুর করে দোকান মালিক খোরশেদ আলম ও মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান মাহবুব রহমানকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
মহানগর শিবিরের সভাপতি শাহলম জানান, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ আমাদের ওপর বুলেট ছোড়ে, লাঠিচার্জ করে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষে কেউ আহত হয়েছে কি না তা জানা নেই। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।