ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পালক শিশুর লাশ উদ্ধার

কুমিল্লা ডেস্কঃ

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শরিফপুর এলাকায় চাচার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফাহিম হোসেন (১৩) নামে পালক নেয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস আই) কাজি হাসান উদ্দিন জানান, রাত ৩টায় নির্মাণাধীন একতলা একটি ভবনের কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, শরিফপুর মধ্যেপাড়া গ্রমের নিঃসন্তান কৃষক মন্তাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় ৫ মাসের শিশু ফাহিমকে পালক নেন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতই লালন পালন করে আসছিলো তাকে।

শনিবার মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ির গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো সে। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফাহিমের পিতা মন্তাজ মিয়া ও মাতা জোহরা আক্তারসহ স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি রাত ১০টায় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।

পরে রাত ২টায় মন্তাজ মিয়ার বাড়ির ৫০ গজ উত্তরে বড়ভাই মতিন মিয়ার নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের গেইটের তালা খুলে ভেতরের একটি কক্ষে তার লাশ দেখতে পেয়ে দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, নিজের সন্তান না হলেও মন্তাজ মিয়া ফাহিমের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার সকল সম্পত্তি স্ত্রী ও পালকপুত্র ফাহিমের নামে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি প্রতিবেশী ও স্বজনদের জানান মন্তাজ মিয়া। এ বিষয় নিয়ে মন্তাজের বড়ভাই মতিন মিয়া কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

কুমিল্লায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পালক শিশুর লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:২৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

কুমিল্লা ডেস্কঃ

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শরিফপুর এলাকায় চাচার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফাহিম হোসেন (১৩) নামে পালক নেয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস আই) কাজি হাসান উদ্দিন জানান, রাত ৩টায় নির্মাণাধীন একতলা একটি ভবনের কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, শরিফপুর মধ্যেপাড়া গ্রমের নিঃসন্তান কৃষক মন্তাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় ৫ মাসের শিশু ফাহিমকে পালক নেন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতই লালন পালন করে আসছিলো তাকে।

শনিবার মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ির গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো সে। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফাহিমের পিতা মন্তাজ মিয়া ও মাতা জোহরা আক্তারসহ স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি রাত ১০টায় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।

পরে রাত ২টায় মন্তাজ মিয়ার বাড়ির ৫০ গজ উত্তরে বড়ভাই মতিন মিয়ার নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের গেইটের তালা খুলে ভেতরের একটি কক্ষে তার লাশ দেখতে পেয়ে দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, নিজের সন্তান না হলেও মন্তাজ মিয়া ফাহিমের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার সকল সম্পত্তি স্ত্রী ও পালকপুত্র ফাহিমের নামে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি প্রতিবেশী ও স্বজনদের জানান মন্তাজ মিয়া। এ বিষয় নিয়ে মন্তাজের বড়ভাই মতিন মিয়া কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ ছিলেন।