কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বাগমারায় শাহ আলী পরিবহনের একটি বাস উল্টে আহত অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধা ছেনোয়ারা হালিম দীর্ঘ ১২ দিন ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মারা গেছেন। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের ছেহরিয়া গ্রামের মরহুম আবদুল হালিমের স্ত্রী।
গত ২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা-বাগমারা-বাঙ্গড্ডা-হাসানপুর সড়কের বাগমারা এলাকার খিলপাড়া কানিয়া পুকুরপাড়ে বাস উল্টে ছেনেয়ারা হালিম অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। ওই সময় আরো ১২ জন আহত হয়। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি সকালে শাহ আলী পরিবহনের বাসটি নাঙ্গলকোটের হাসানপুর থেকে যাত্রী নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নিহত ছেনোয়ারা হালিম বাঙ্গড্ডা বাজার থেকে কুমিল্লা যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেন। বাসটি ভুশ্চি বাজার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাগমারার খিলপড়ার কানিয়া পুকুর পাড়ে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এ সময় বাসের রেডিয়েটর ও ব্যাটারির গরম পানি পড়ে ছেনোয়ারা হালিমের শরীরের বুক থেকে পা পর্যন্ত পুড়ে যায়। এ অবস্থায় ছেলে মাহবুব গুরুতর অগ্নিদগ্ধ মাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করেন।
ওই সময় বাসের গ্লাসের কাচ ভেঙে আরো ১২ জন যাত্রী আহত হয়। ছেনোয়ারা হালিমের ছেলে মাহবুব বলেন, আমার মাকে ১২ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচাতে পারলাম না।
জানা যায়, ফিটনেসবিহীন ও অদক্ষ ড্রাইভারদের কারণে প্রায় সময় শাহ আলী পরিবহনের বাসগুলো দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে যাত্রীদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।