ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যা করে ক্ষেতে ফেলে দেন স্বামী

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মোস্তফাপুর এলাকায় ফারজানা ইসলাম (২৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের বিলের পাশের একটি ধানের জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ফারজানা কুমিল্লা আদর্শ সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নেরের আলেখারচর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তিনি পাশের অলিপুর এলাকার অটোরিকশা চালক ইকবালের স্ত্রী।

ফারজানার চাচা হাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৩ দিন আগে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে এসে বিকেলে ফারজানাকে তার বাবার বাড়ি আলেখারচর থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে ইকবাল। পরে ইকবাল রোববার সকাল ৯টায় ফরজানার বাড়িতে থাকা তার বাড়ির লোকদের ফোন করে জানায় ফারজানাকে কে বা কারা হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছে। মাদকসেবন করে আমার ভাতিজিকে ইকবাল প্রায়ই মারধর করতেন।

নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউল ইসলাম বলেন, মরদেহের মাথায় বড় বড় আঘাতের চিহ্ন। তার হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা, আর মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এটা নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যা করে ক্ষেতে ফেলে দেন স্বামী

আপডেট সময় ০২:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মোস্তফাপুর এলাকায় ফারজানা ইসলাম (২৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের বিলের পাশের একটি ধানের জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ফারজানা কুমিল্লা আদর্শ সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নেরের আলেখারচর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তিনি পাশের অলিপুর এলাকার অটোরিকশা চালক ইকবালের স্ত্রী।

ফারজানার চাচা হাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৩ দিন আগে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে এসে বিকেলে ফারজানাকে তার বাবার বাড়ি আলেখারচর থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে ইকবাল। পরে ইকবাল রোববার সকাল ৯টায় ফরজানার বাড়িতে থাকা তার বাড়ির লোকদের ফোন করে জানায় ফারজানাকে কে বা কারা হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছে। মাদকসেবন করে আমার ভাতিজিকে ইকবাল প্রায়ই মারধর করতেন।

নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউল ইসলাম বলেন, মরদেহের মাথায় বড় বড় আঘাতের চিহ্ন। তার হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা, আর মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এটা নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।