ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় হাত-পা বেঁধে ৩ বাড়িতে ডাকাতি!

কুমিল্লা ডেস্কঃ

কুমিল্লা সদর উপজেলায় দুই রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত সদস্যরা তিন পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুটে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন আহত হয়েছেন।  

শনিবার (৩০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান।
 
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুতিয়ার দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মো. ছাদেকুর রহমান বলেন, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে আমার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। তাদের হাতে ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও তালা ভাঙার মেশিন। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের রশি দিয়ে বেঁধে ঘরে থাকা নগদ ৫৩ হাজার টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণ, ২টি টর্চলাইট ও ২টি মোবাইলফোন নিয়ে যায়। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ছোট ছেলের একটি আঙুল কেটে যায়।  

একই রাতে পার্শ্ববর্তী বাঁশমঙ্গল গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মকবুল আহমেদের ঘরেও হানা দেয় ডাকাতরা। মকবুল জানান, তার একতলা পাকা দালানের পাশে গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ডাকাতরা। পরে ছাদের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তার ২ ছেলের বউ, ১ নাতি ও তাকে বেঁধে ঘরে থাকা ২টি মোবাইলফোন, ৪ জোড়া কানের দুল, একটি গলার হার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তার ৫ ছেলের সবাই প্রবাসে থাকেন। নিজের স্ত্রী ও ২ ছেলের বউ নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন।  

এদিকে, গত মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী শালুকমুড়া এলাকায় মজিবুর রহমানের ঘরে একই রকম পোশাকের ও অস্ত্র নিয়ে অন্তত ১৫ জন ডাকাত হানা দেয়। মজিবুর রহমান জানান, তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ১৮ লাখ টাকা, ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।  

পুলিশ কর্মকর্তা সোহান সরকার বলেন, অনেক বছর ডাকাতির ঘটনা বন্ধ ছিল। এখন আবার শুরু হয়েছে। যেসব বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেসব বাড়ির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থেকে সব তথ্য উপাত্ত নিয়েছি। ওই ডাকাতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

কুমিল্লায় হাত-পা বেঁধে ৩ বাড়িতে ডাকাতি!

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

কুমিল্লা ডেস্কঃ

কুমিল্লা সদর উপজেলায় দুই রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত সদস্যরা তিন পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুটে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন আহত হয়েছেন।  

শনিবার (৩০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান।
 
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুতিয়ার দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মো. ছাদেকুর রহমান বলেন, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে আমার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। তাদের হাতে ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও তালা ভাঙার মেশিন। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের রশি দিয়ে বেঁধে ঘরে থাকা নগদ ৫৩ হাজার টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণ, ২টি টর্চলাইট ও ২টি মোবাইলফোন নিয়ে যায়। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ছোট ছেলের একটি আঙুল কেটে যায়।  

একই রাতে পার্শ্ববর্তী বাঁশমঙ্গল গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মকবুল আহমেদের ঘরেও হানা দেয় ডাকাতরা। মকবুল জানান, তার একতলা পাকা দালানের পাশে গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ডাকাতরা। পরে ছাদের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তার ২ ছেলের বউ, ১ নাতি ও তাকে বেঁধে ঘরে থাকা ২টি মোবাইলফোন, ৪ জোড়া কানের দুল, একটি গলার হার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তার ৫ ছেলের সবাই প্রবাসে থাকেন। নিজের স্ত্রী ও ২ ছেলের বউ নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন।  

এদিকে, গত মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী শালুকমুড়া এলাকায় মজিবুর রহমানের ঘরে একই রকম পোশাকের ও অস্ত্র নিয়ে অন্তত ১৫ জন ডাকাত হানা দেয়। মজিবুর রহমান জানান, তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ১৮ লাখ টাকা, ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।  

পুলিশ কর্মকর্তা সোহান সরকার বলেন, অনেক বছর ডাকাতির ঘটনা বন্ধ ছিল। এখন আবার শুরু হয়েছে। যেসব বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেসব বাড়ির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থেকে সব তথ্য উপাত্ত নিয়েছি। ওই ডাকাতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।