ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ইকবাল

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় আটক ইকবাল হোসেনকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে।

এর আগে কক্সবাজার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ইকবালকে আটক করে সেখানকার পুলিশ।

এদিকে ইকবালকে কুমিল্লায় আনার খবর পেয়ে সকাল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও পুলিশ লাইন্সের গেটে অবস্থান নেন। দুপুর ১২টার দিকে ইকবালকে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম. তানভীর আহমেদ জানান, আমরা ইকবালকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। এরপর এ বিষয়ে আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) বিস্তারিত জানাবো। তবে কখন জানানো হবে সেই বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।

এর আগে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর এ-সার্কেল) মো. সোহান সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের টিম ইকবালকে আনতে কক্সবাজারে যান। শুক্রবার ভোরে তারা কক্সবাজার পৌঁছান।

দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইকবালকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজে যে ইকবালকে শনাক্ত করেছিলাম এটা সেই ইকবাল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সব কিছু জানা যাবে।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়- ইকবাল পাশের দারোগাবাড়ি মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপের দিকে যাচ্ছে। পরে ‘হনুমানের গদা’ নিয়ে তাকে ফিরে আসতে দেখা যায়। এ ঘটনার পর প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ইকবাল

আপডেট সময় ০১:২০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় আটক ইকবাল হোসেনকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে।

এর আগে কক্সবাজার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ইকবালকে আটক করে সেখানকার পুলিশ।

এদিকে ইকবালকে কুমিল্লায় আনার খবর পেয়ে সকাল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও পুলিশ লাইন্সের গেটে অবস্থান নেন। দুপুর ১২টার দিকে ইকবালকে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম. তানভীর আহমেদ জানান, আমরা ইকবালকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। এরপর এ বিষয়ে আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) বিস্তারিত জানাবো। তবে কখন জানানো হবে সেই বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।

এর আগে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর এ-সার্কেল) মো. সোহান সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের টিম ইকবালকে আনতে কক্সবাজারে যান। শুক্রবার ভোরে তারা কক্সবাজার পৌঁছান।

দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইকবালকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজে যে ইকবালকে শনাক্ত করেছিলাম এটা সেই ইকবাল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সব কিছু জানা যাবে।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়- ইকবাল পাশের দারোগাবাড়ি মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপের দিকে যাচ্ছে। পরে ‘হনুমানের গদা’ নিয়ে তাকে ফিরে আসতে দেখা যায়। এ ঘটনার পর প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।