ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা বোর্ডে জেএসসিতে পাসের হার ৮৮.৮০ শতাংশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, উপ-সচিব (প্রশাসন) এ কে এম শাহাব উদ্দিন। এ বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৮০ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮৬.৯৯ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার, জিপিএ-৫ ও শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। সম্মিলিত পাসের হারে এবার মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে আছে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বোর্ডের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর মোট ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৭৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছেলে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৭ জন এবং মেয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৭ জন। মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২ লাখ ৪০ হাজার ৬২২ জন। এদের মধ্যে ৯৯ হাজার ৯২৮ জন ছেলে ও ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৪ জন মেয়ে। এক্ষেত্রে ছেলেদের পাসের হার ৮৯.৩৫ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮৮.৪২ শতাংশ। এবার বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ১৩১ জন। তন্মধ্যে ছেলে ২ হাজার ১১৮ জন ও মেয়ে ৪ হাজার ১৩ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় এবার কুমিল্লা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার, জিপিএ-৫ ও শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। ওই সালে পাসের হার ছিল ৮৬.৯৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৭৪২ জন শিক্ষার্থী। এদিকে এ বোর্ডের অধীন ৬ জেলার মোট ১ হাজার ৯২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩৯টি। গতবছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৫৮টি।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম জানান, বোর্ডের সার্বিক ফলাফল ভালো করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় সভা করে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে এ বছর পাসের হার, জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে এবং প্রত্যাশিত ফল হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা বোর্ডে জেএসসিতে পাসের হার ৮৮.৮০ শতাংশ

আপডেট সময় ০১:৩২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, উপ-সচিব (প্রশাসন) এ কে এম শাহাব উদ্দিন। এ বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৮০ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮৬.৯৯ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার, জিপিএ-৫ ও শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। সম্মিলিত পাসের হারে এবার মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে আছে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বোর্ডের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর মোট ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৭৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছেলে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৭ জন এবং মেয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৭ জন। মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২ লাখ ৪০ হাজার ৬২২ জন। এদের মধ্যে ৯৯ হাজার ৯২৮ জন ছেলে ও ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৪ জন মেয়ে। এক্ষেত্রে ছেলেদের পাসের হার ৮৯.৩৫ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮৮.৪২ শতাংশ। এবার বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ১৩১ জন। তন্মধ্যে ছেলে ২ হাজার ১১৮ জন ও মেয়ে ৪ হাজার ১৩ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় এবার কুমিল্লা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার, জিপিএ-৫ ও শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। ওই সালে পাসের হার ছিল ৮৬.৯৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৭৪২ জন শিক্ষার্থী। এদিকে এ বোর্ডের অধীন ৬ জেলার মোট ১ হাজার ৯২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩৯টি। গতবছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৫৮টি।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম জানান, বোর্ডের সার্বিক ফলাফল ভালো করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় সভা করে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে এ বছর পাসের হার, জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে এবং প্রত্যাশিত ফল হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।