দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারী। এসব কারণে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে পথচারী ও যাত্রী। রাস্তার মাঝেই অকেজো হয়ে পড়ে থাকে ট্রাক, বাস, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার পৌর এলাকার সড়কটি যেন ভোগান্তি ও দুর্ভোগের নাম। এ সড়কে পিচের বদলে সারিবদ্ধ ইটের সলিং যাত্রী দুর্ভোগ বাড়িয়েছে আরো দ্বিগুণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের এখন করুণ দশা। নিম্নমানের কাজ ও সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের কোনো উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে এখন যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে আছে তীব্র যানজট। এসব সড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, নিউমার্কেটের পূর্বপাশের যাত্রীছাউনির সামনের অংশে পচা ময়লা আবর্জনার স্তূপের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে চলেন পথচারীরা। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই থাকে ময়লা আবর্জনা ও পানি। দেখলে মনে হয় যেন একটি মাটির রাস্তা, পাকা সড়কের কোনো অস্তিত্বই নেই। রাস্তার দুপাশে পিচ উঠে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড়ো বড়ো গর্ত, যা অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। উপজেলা পরিষদ, এসএ সরকারি কলেজ, সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয় এ সড়ক দিয়েই। কাদা-পানির মধ্যদিয়েই পথচারী, শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী জানান, কুমিল্লা-সিলেট গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অসংখ্য জায়গা খানাখন্দে ভরা। বাস, রিকশাা, সিএনজি অটোরিকশা যা দিয়েই চলাফেরা করি না কেন সবই গর্তে পড়ে যায়। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা আর পানি মিলে একাকার হয়ে যায়। এতে বোঝার উপায় থাকে না কোথায় খানাখন্দ আর কোথায় সমতল।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদউল্লাহ জানান, দেবিদ্বার অঞ্চলের সড়কটি খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খুব শিগগিরই এই সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে।