মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
নির্বাচনী মাঠে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে অনেকটা নির্ভার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ। পর পর গত দুইটি নির্বাাচনে এ আসন থেকে জয়লাভ করে এমপি হয়ন তিনি। এবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়ে সবার আগে তৎপরতা শুরু করেন তিনি।
এই আসনে নৌকার একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ইউছুফ আব্দুল্লাহর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীতায় টিকে যান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় গরমিলের অভিযোগে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও তাঁর অনুসারীরা অনেকটা নির্ভার হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রার্থীতা ফিরে পেলে আসনটির দৃশ্যপট বদলে যায়।
এখন সহজেই ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সাধারণ ভোটার ও দলীয় কর্মীরা।
সাধারণ ভোটাররা জানান, জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে মাঠে নামায় তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনাকল্পনা। চাপে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন। সবসময় জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও তার পরিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মন জয় করায় জাহাঙ্গীর আলম রয়েছে শক্ত অবস্থানে।
চাপিতলা গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই হবে। জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে নিয়ে মানুষ নতুন করে ভাবছে। এক সময়ের এমপির ইউছুফ আব্দুল্লাহার অনুসারীদের এখন জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দেখা যাচ্ছে।
আসনটিতে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে ছাড়াও মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে লড়াই প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল; তা ফিরে পেয়েছি। সাধারণ মানোষের মাঝে যে উচ্ছ্বাস দেখতেছি, তা আমার নির্বাচনের জন্য নিয়ামক। লড়াইয়ে সাধারণ মানুষই আমার শক্তি। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ২৭ বছর সাধারন সম্পাদক ছিলাম এবং দলের জন্য অনেক কাজ করেছি। তাই আওয়ামীলীগেরে নেতারাও আমার সাথে রয়েছে। অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে আমি জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ।