ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা-৩ আসনে নৌকা ও ধানের শীষে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমপি ইউছুফ আব্দুল্লা হারুন এফসিএর নৌকা ও বিএনপি প্রার্থী এই আসনের পাচঁ বারের সাংসদ বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাই কে এম মজিবুল হকের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এই আসনে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে মামলা জনিত কারনে কায়কোবাদ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকায় এবার নির্বাচন করতে পারছেন না। তবে প্রভাবশালী এই পরিবারের হাতেই রয়েছে ধানের শীষ।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী আগে থেকেই তৃণমূল পর্যন্ত মাঠ গুছিয়ে নিয়েছে। অপরদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার দোলাচলে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঐক্যজোট প্রার্থী দেরিতে হলেও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে।

নির্বাচনে আরো প্রার্থী থাকলেও মূলত এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হওয়ায় ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ডা: ওয়ালী আহাম্মদের পর আর জয়ের মূখ দেখেনি আওয়ামীলীগ।

তবে গত নির্বাচনে এ আসনে আ’লীগের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ আবদুল্লাহ হারুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ও বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ দীর্ঘদিন এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবারের সংসদ নির্বাচনে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন চতুর্থ এবং কেএম মজিবুল হকের প্রথমবার অংশগ্রহণ। ২০১৪ সালে বিএনপি বিহিন নির্বাাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এমপি নির্বাচিত হন। প্রায় ৫ বছর ধরে তিনি উন্নয়ন কর্মকন্ড চালিয়েছেন অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই। ভোটারদের মাঝে আলোচনা হচ্ছে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন নির্বাচিত হওয়ার পর এ এলাকায় বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সর্ব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। এবারের নির্বাচনে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত।

অপর দিকে অনেকে বলছেন, এলাকায় ভোটারদের মাঝে ধানের শীষের মোহ আছে। উন্নয়ন হলো সরকারের ধারাবাহিকতা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের আমলেও উন্নয়ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিএনপির জোয়াড় ও ব্যাক্তি কায়কোবাদ এবং তার পরিবারের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি এ আসন থেকে বিজয়ী হবে। এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী মাঠের আলোচনা। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কে হাসবেন জয়ের হাসি তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা-৩ আসনে নৌকা ও ধানের শীষে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

আপডেট সময় ০১:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমপি ইউছুফ আব্দুল্লা হারুন এফসিএর নৌকা ও বিএনপি প্রার্থী এই আসনের পাচঁ বারের সাংসদ বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাই কে এম মজিবুল হকের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এই আসনে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে মামলা জনিত কারনে কায়কোবাদ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকায় এবার নির্বাচন করতে পারছেন না। তবে প্রভাবশালী এই পরিবারের হাতেই রয়েছে ধানের শীষ।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী আগে থেকেই তৃণমূল পর্যন্ত মাঠ গুছিয়ে নিয়েছে। অপরদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার দোলাচলে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঐক্যজোট প্রার্থী দেরিতে হলেও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে।

নির্বাচনে আরো প্রার্থী থাকলেও মূলত এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হওয়ায় ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ডা: ওয়ালী আহাম্মদের পর আর জয়ের মূখ দেখেনি আওয়ামীলীগ।

তবে গত নির্বাচনে এ আসনে আ’লীগের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ আবদুল্লাহ হারুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ও বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসাইন কায়কোবাদ দীর্ঘদিন এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবারের সংসদ নির্বাচনে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন চতুর্থ এবং কেএম মজিবুল হকের প্রথমবার অংশগ্রহণ। ২০১৪ সালে বিএনপি বিহিন নির্বাাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এমপি নির্বাচিত হন। প্রায় ৫ বছর ধরে তিনি উন্নয়ন কর্মকন্ড চালিয়েছেন অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই। ভোটারদের মাঝে আলোচনা হচ্ছে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন নির্বাচিত হওয়ার পর এ এলাকায় বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সর্ব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। এবারের নির্বাচনে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত।

অপর দিকে অনেকে বলছেন, এলাকায় ভোটারদের মাঝে ধানের শীষের মোহ আছে। উন্নয়ন হলো সরকারের ধারাবাহিকতা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের আমলেও উন্নয়ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিএনপির জোয়াড় ও ব্যাক্তি কায়কোবাদ এবং তার পরিবারের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি এ আসন থেকে বিজয়ী হবে। এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী মাঠের আলোচনা। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কে হাসবেন জয়ের হাসি তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।