ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনটি জাপাকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামীলীগ

সৈয়দ রাজিব আহম্মদঃ

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরের আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা একাট্টা হয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামীলীগ থেকে ১৫ জন মনোনয়ন ক্রয় করলেও সকল মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা চান দলীয় প্রার্থী। গত নির্বাচনে এ আসনটি জাপাকে ছাড় দিলেও এবার জাপাকে ছাড় দিতে চায়না স্থানীয় আওয়ামীলীগ।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলেন, নৌকা যার আমরা তার। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন ১৫ জন। তারা হলেন, বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হানিফ সরকার, ম. রুহল আমিন, কেন্দ্রীয় আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ সম্পাদক আ.খ.ম গিয়াস উদ্দিন, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ হোসেন আউয়াল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব ড. এহসানুল আলম সরকার কিশোর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলামের ছেলে আবু কাওছার সরকার মাসুদ, উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অলিউল্লাহ পলাশ, আবুল কালাম ও জাহাঙ্গীর আলম।

১৯৭৩ সালের পর কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনে জয়হীন আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের সুযোগ পেলেও জোটের কারণে আসনটি ছেড়ে দিতে হয় জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। সেই নির্বাচনে জামানত হারায় মহাজোটের প্রার্থী আক্তার হোসেন। বিগত নির্বাচনগুলোর চেয়ে এবার এ আসনের আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান এবং নেতাকর্মীরাও একাট্টা। তাই এবার নৌকার প্রার্থী চায় তৃণমূল।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে পরে দলের স্বার্থে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে মহাজোটকে (লাঙ্গল) এই আসনটি ছেড়ে দেন। ফলে দলে তাঁর ভাবমূর্তি যেমন অক্ষুন্ন, তেমনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে বেড়েছে অতিমাত্রায় গ্রহণযোগ্যতা। কারণ দলীয় শৃঙ্খলা তিনি ভঙ্গ করেননি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনটি জাপাকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামীলীগ

আপডেট সময় ০১:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮
সৈয়দ রাজিব আহম্মদঃ

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরের আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা একাট্টা হয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামীলীগ থেকে ১৫ জন মনোনয়ন ক্রয় করলেও সকল মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা চান দলীয় প্রার্থী। গত নির্বাচনে এ আসনটি জাপাকে ছাড় দিলেও এবার জাপাকে ছাড় দিতে চায়না স্থানীয় আওয়ামীলীগ।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলেন, নৌকা যার আমরা তার। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন ১৫ জন। তারা হলেন, বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হানিফ সরকার, ম. রুহল আমিন, কেন্দ্রীয় আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ সম্পাদক আ.খ.ম গিয়াস উদ্দিন, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ হোসেন আউয়াল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব ড. এহসানুল আলম সরকার কিশোর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলামের ছেলে আবু কাওছার সরকার মাসুদ, উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অলিউল্লাহ পলাশ, আবুল কালাম ও জাহাঙ্গীর আলম।

১৯৭৩ সালের পর কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনে জয়হীন আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের সুযোগ পেলেও জোটের কারণে আসনটি ছেড়ে দিতে হয় জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। সেই নির্বাচনে জামানত হারায় মহাজোটের প্রার্থী আক্তার হোসেন। বিগত নির্বাচনগুলোর চেয়ে এবার এ আসনের আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান এবং নেতাকর্মীরাও একাট্টা। তাই এবার নৌকার প্রার্থী চায় তৃণমূল।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে পরে দলের স্বার্থে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে মহাজোটকে (লাঙ্গল) এই আসনটি ছেড়ে দেন। ফলে দলে তাঁর ভাবমূর্তি যেমন অক্ষুন্ন, তেমনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে বেড়েছে অতিমাত্রায় গ্রহণযোগ্যতা। কারণ দলীয় শৃঙ্খলা তিনি ভঙ্গ করেননি।