ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেউ বন্ধুর বেশে প্রভু হতে চাইলে মেনে নেব না :খালেদা

জাতীয় ডেস্কঃ

দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা সকলকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, কিন্তু কেউ যদি বন্ধুর বেশে প্রভু হতে চায়, সেটা মেনে নেব না, মেনে নিতে দেব না। বন্ধুর নামে প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা দেখে অনেকে এগিয়ে আসতে চায়, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের নামে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে দেশকে দুর্বল করার জন্য। বাংলাদেশে যখন আট কোটি লোক ছিল, তখন নিজেরা ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। আজকে ১৬ থেকে ১৭ কোটি লোক ঐক্যবদ্ধ, তাদের কারোর সাহায্যের প্রয়োজন নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। সামনে আবার যদি দেশের জন্য সংগ্রাম করতে হয় সেই সংগ্রামও আমরা করব। বিজয়ী আমরা হবই।

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত শুক্রবার ‘জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা—জাসাস’ আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা ভারতে বেড়িয়ে এসেছেন, কিন্তু নিজের দেশের মানুষের স্বার্থের কথা, নিজের দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলতে পারেননি, কিছু করতে পারেননি। আমরা বলতে চাই, যদি তিনি সাহস করে শুধু একটা কথা বলতে পারতেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দেন, তাহলে আমি সমঝোতা করব, তা না হলে করব না। এটা বললে আমরা সবাই তার পাশে থেকে সাহস ও সমর্থন জানাতাম।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা দেশ থেকে সন্ত্রাস, গুম, খুন, হত্যা, জঙ্গি হামলা বিদায় করব। এসব বিদায় করে দেশে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। জাসাস সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইনাম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিরক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান ছিল দায়সারা গোছের। অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশনা না করায় অস্বস্তিবোধ করেন খালেদ জিয়া ও সিনিয়র নেতারা। নেতারা আয়োজকদের মানসম্পন্ন গান পরিবেশনের কথাও বলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান ক্রমশ বিরক্তকর হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে দলের সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও অন্য নেতারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

ইত্তেফাক

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

কেউ বন্ধুর বেশে প্রভু হতে চাইলে মেনে নেব না :খালেদা

আপডেট সময় ০২:১৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ

দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা সকলকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, কিন্তু কেউ যদি বন্ধুর বেশে প্রভু হতে চায়, সেটা মেনে নেব না, মেনে নিতে দেব না। বন্ধুর নামে প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা দেখে অনেকে এগিয়ে আসতে চায়, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের নামে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে দেশকে দুর্বল করার জন্য। বাংলাদেশে যখন আট কোটি লোক ছিল, তখন নিজেরা ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। আজকে ১৬ থেকে ১৭ কোটি লোক ঐক্যবদ্ধ, তাদের কারোর সাহায্যের প্রয়োজন নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। সামনে আবার যদি দেশের জন্য সংগ্রাম করতে হয় সেই সংগ্রামও আমরা করব। বিজয়ী আমরা হবই।

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত শুক্রবার ‘জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা—জাসাস’ আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা ভারতে বেড়িয়ে এসেছেন, কিন্তু নিজের দেশের মানুষের স্বার্থের কথা, নিজের দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলতে পারেননি, কিছু করতে পারেননি। আমরা বলতে চাই, যদি তিনি সাহস করে শুধু একটা কথা বলতে পারতেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দেন, তাহলে আমি সমঝোতা করব, তা না হলে করব না। এটা বললে আমরা সবাই তার পাশে থেকে সাহস ও সমর্থন জানাতাম।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা দেশ থেকে সন্ত্রাস, গুম, খুন, হত্যা, জঙ্গি হামলা বিদায় করব। এসব বিদায় করে দেশে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। জাসাস সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইনাম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিরক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান ছিল দায়সারা গোছের। অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশনা না করায় অস্বস্তিবোধ করেন খালেদ জিয়া ও সিনিয়র নেতারা। নেতারা আয়োজকদের মানসম্পন্ন গান পরিবেশনের কথাও বলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান ক্রমশ বিরক্তকর হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে দলের সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও অন্য নেতারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

ইত্তেফাক