জাতীয় ডেস্কঃ
চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগানে রোববার বেলা ১১টার দিকে শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা কোটা ব্যবস্থা একেবারে তুলে না দিয়ে দেশের স্বার্থে তা সীমিত করার দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সালেক মুহিদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমরা যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি সেটা অনৈতিক। বেআইনি নয়, কারণ আইনে লিখিত আছে। তবে এটা অনৈতিক। নিজেদের সুবিধার জন্য নয়, দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা এখানে এসেছি। কারণ দেশের যখন উন্নতি হবে, সে দেশের জনগণের উন্নতি হবে। আমি মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করি। যখন দেখি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাই কোটার দাবিতে আন্দোলন করছে।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল জলিল বলেন, আজ যখন ১ থেকে ২ শতাংশ মানুষের জন্য চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকে সেক্ষেত্রে বৈষম্য কতটা প্রকট তা সারাদেশের মানুষ জানে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য দেশে যে ডিজিটালাইজেশ চলছে সেখানে কোটা বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক আজিজুল শেখ সুলতানের সঞ্চলনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মদিনা আক্তার মনা, মাইক্রেবায়োলজি বিভাগের শাহাজাহান সাজু, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম জয় প্রমুখ।
মানববন্ধনে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষে ৫টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটার ক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া ও চাকরিতে প্রবেশে অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা।