ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা ফারুকীর পাশে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলামির নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসনের পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (সাবেক মন্ত্রী)।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তায় নগদ অর্থ মাওলানা ফারুকীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুহৃদ কিছু ওলামায়ে কেরাম, লাবিব একাডেমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা সালেহ আহমদ আজম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সাংবাদিক মুফতি এনায়েতুল্লাহ, লেখক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান এবং চিকিৎসা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব মুফতি রেজওয়ান রফিকী ও লেখক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও আলেম-ওলামাদের সঙ্গে জিয়া পরিবারের ঐতিহাসিক ও আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই আজ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
এর আগে রুহুল কবির রিজভী (প্রধান উপদেষ্টা),আতিকুর রহমান রুমন (আহবায়ক) ও মোকছেদুল মমিন মিথুন (সদস্য সচিব) তাদের নেতৃত্বে আমরা বিএনপি পরিবার তাকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জিয়া পরিবার ও এ দেশের আলেম-ওলামারা। ইসলামী দলসহ আওয়ামী মতের বিরুদ্ধে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। আওয়ামী নির্যাতনের সে নির্মমতার একটি উদাহরণ তরুণ আলেম মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে গত ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময় মিথ্যা ১৬টি মামলায় তিনি কারাভোগ করেন। তার একমাত্র অপরাধ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহঃ)-এর বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী হওয়া। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২৪ দিন রিমান্ডে অবর্ণনীয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং চিকিৎসাবিহীন টানা দেড় বছর কারাভোগ মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকীর জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে।
গ্রেফতারের পর নির্যাতনের চূড়ান্ত ধকলেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর একনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সহকারীর শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসকদের পাশাপাশি চেন্নাই সিএমসি হাসপাতালে প্রায় বছরখানেক চিকিৎসা নিয়েছেন। এই চিকিৎসার অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে তাকে চীনের গুয়াংজু হাসপাতালে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। বিএনপি নেতা কায়কোবাদ তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ।

মুরাদনগরের ইউএনও: জনকল্যাণে মানবিকতা ও স্বচ্ছতার প্রতীক

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা ফারুকীর পাশে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

আপডেট সময় ০৩:৫০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলামির নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসনের পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (সাবেক মন্ত্রী)।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তায় নগদ অর্থ মাওলানা ফারুকীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুহৃদ কিছু ওলামায়ে কেরাম, লাবিব একাডেমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা সালেহ আহমদ আজম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সাংবাদিক মুফতি এনায়েতুল্লাহ, লেখক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান এবং চিকিৎসা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব মুফতি রেজওয়ান রফিকী ও লেখক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও আলেম-ওলামাদের সঙ্গে জিয়া পরিবারের ঐতিহাসিক ও আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই আজ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
এর আগে রুহুল কবির রিজভী (প্রধান উপদেষ্টা),আতিকুর রহমান রুমন (আহবায়ক) ও মোকছেদুল মমিন মিথুন (সদস্য সচিব) তাদের নেতৃত্বে আমরা বিএনপি পরিবার তাকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জিয়া পরিবার ও এ দেশের আলেম-ওলামারা। ইসলামী দলসহ আওয়ামী মতের বিরুদ্ধে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। আওয়ামী নির্যাতনের সে নির্মমতার একটি উদাহরণ তরুণ আলেম মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে গত ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময় মিথ্যা ১৬টি মামলায় তিনি কারাভোগ করেন। তার একমাত্র অপরাধ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহঃ)-এর বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী হওয়া। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২৪ দিন রিমান্ডে অবর্ণনীয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং চিকিৎসাবিহীন টানা দেড় বছর কারাভোগ মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকীর জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে।
গ্রেফতারের পর নির্যাতনের চূড়ান্ত ধকলেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর একনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সহকারীর শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসকদের পাশাপাশি চেন্নাই সিএমসি হাসপাতালে প্রায় বছরখানেক চিকিৎসা নিয়েছেন। এই চিকিৎসার অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে তাকে চীনের গুয়াংজু হাসপাতালে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। বিএনপি নেতা কায়কোবাদ তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ।