তথ্যপ্রযুক্তি :
১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অনলাইনে কেনাকাটা ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশনে ওটিএএফ পূরণ বাধ্যতামূক ছিল। ফরমটি যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকেরা লেনদেন ও অনলাইনে কেটাকাটা করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ডের অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশনকে ঘিরে এমন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেসিসের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ১১টি ব্যাংকের হেড অব কার্ডস/রিটেলার উপস্থিত ছিলেন। বেসিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, সহসভাপতি শোয়েব আহমেদ মাসুদ ও বেসিসের ডিজিটাল মার্কেটিং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১৪ নভেম্বর জারিকৃত ২৬ নম্বর সার্কুলার অনুযায়ী অনলাইন ট্রানজেকশন অথোরাইজেশন (ওটিএএফ) কেন ভোক্তাদের অনলাইনে কেনাকাটায় নিরুত্সাহিত করবে এবং ব্যাংকগুলো কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হবে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয় বেসিস টিম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অপর একটি সার্কুলার জারি করা হয়। নতুন সার্কুলারে ওটিএএফের বিষয়টি তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘এত অল্প সময়ে পালটা সার্কুলার জারির ঘটনা বোধ হয় এটাই প্রথম! এই নতুন নির্দেশের ফলে ক্রেডিট কার্ডের ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল, তা আর রইল না।’
সৈয়দ আলমাস কবীর জানান, অবৈধ লেনদেন ঠেকাতেই বাংলাদেশ ব্যাংক এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। অবৈধ লেনদেন কন্ট্রোল করতে অন্য অনেক উপায় গ্রহণ করা যেতে পারে। এরই মধ্যে অনেক ব্যাংক ফেসবুক ও গুগল-সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক বলছে, অনলাইন লেনদেনের গাইডলাইনে ফেসবক ও গুগল-সংক্রান্ত বিষয়টি উল্লেখ নেই। যেহেতু বিষয়টি উল্লেখ নেই, পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই লেনদেন বন্ধ থাকবে। আবার অনেক ব্যাংক থেকে লেনদেন করা যাচ্ছে। খুব দ্রুত বিষটির সমাধান হবে এবং সব ব্যাংক থেকেই ফেসবুক ও গুগল-সংক্রান্ত লেনদেন করা যাবে বলেও জানান তিনি।
আলমাস কবীর আরো বলেন, ‘গত ১৭ নভেম্বর ভিয়েতনামে যাওয়ার প্রাক্কালে বেসিস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়েছিল আমাদের এবং তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ঢাকায় ফেরার পরপরই সভার আয়োজন করা হয়। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য। একই সঙ্গে সব ব্যাংকের এমডি ও কার্ডস/রিটেলার প্রধানগণকে ধন্যবাদ জানাই বেসিসের সঙ্গে থাকার জন্য। আর যার কথা না বললেই নয়, আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভাইকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই সমস্যার কথা তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর করার জন্য।’