ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার: ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে তারা কোনো নিয়ম না মেনে সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চাইছে। ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধংস করে দেওয়া হয়েছে, আপনারা গত কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেখেছেন। আর আগামী নির্বাচন বিএনপিকে ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না, বিরোধী দলের এজেন্টরা কেন্দ্রে যেতে পারে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নানা কৌশলে সম্পূর্ণভাবে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  ও প্রশাসন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে ফলাফলকে নিজের করাত্ব করছে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বিগত দিনে পাঁচ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে। ১০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশে ৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লাখ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে এই ছবিগুলো দেখছি। মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে লাশ পড়ে থাকছে। এ বিষয়গুলিকে আমরা অনেকবার সামনে নিয়ে এসেছি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ‘রাইট টু লাইফ: এ ফার ক্রাই ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১৫ মিনিটে প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। কূটনীতিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের সামনে যে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হলো, তারপর আর বেশি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে ‘নির্জন কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।তার প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার বিষয়ক আসাদুজ্জামানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় মানবাধিকারসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাস্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মানবাধিকার বিষয়ক সচিব মাইক ক্রেমার,ফ্রান্স দূতাবাসের উপ-প্রধান জ্যঁ-পিয়ের পঁশে, ভারতের রাজনৈতিক বিভাগের শান্তনু মুখার্জীসহ কানাডা, সুইডেন, পাকিস্তান, ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে শিশু সুরক্ষায় ক্যাপিটেশর গ্রান্টপ্রাপ্ত এতিমখানার ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার: ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে তারা কোনো নিয়ম না মেনে সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চাইছে। ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধংস করে দেওয়া হয়েছে, আপনারা গত কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেখেছেন। আর আগামী নির্বাচন বিএনপিকে ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না, বিরোধী দলের এজেন্টরা কেন্দ্রে যেতে পারে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নানা কৌশলে সম্পূর্ণভাবে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  ও প্রশাসন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে ফলাফলকে নিজের করাত্ব করছে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বিগত দিনে পাঁচ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে। ১০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশে ৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লাখ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে এই ছবিগুলো দেখছি। মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে লাশ পড়ে থাকছে। এ বিষয়গুলিকে আমরা অনেকবার সামনে নিয়ে এসেছি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ‘রাইট টু লাইফ: এ ফার ক্রাই ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১৫ মিনিটে প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। কূটনীতিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের সামনে যে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হলো, তারপর আর বেশি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে ‘নির্জন কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।তার প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার বিষয়ক আসাদুজ্জামানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় মানবাধিকারসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাস্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মানবাধিকার বিষয়ক সচিব মাইক ক্রেমার,ফ্রান্স দূতাবাসের উপ-প্রধান জ্যঁ-পিয়ের পঁশে, ভারতের রাজনৈতিক বিভাগের শান্তনু মুখার্জীসহ কানাডা, সুইডেন, পাকিস্তান, ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।