জাতীয় ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ‘রোডম্যাপ’ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও অগ্রগতি দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করবে আওয়ামী লীগ।
সোমবার সচিবালয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘রোডম্যাপ ভালো হয়েছে কিনা- এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে আমরা আরো কিছুটা সময় নেব। এটি আমাদের দলের অবস্থান।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘একজন মামলার ভয়ে বিদেশ থেকে আসে না, কতদিন হয়ে গেলো তিনি আর আসেন না। আরেকজন আবার টেমস নদীর পারে গেলেন। উনি যাচ্ছেন আমাদের এ ব্যাপারে আপত্তি বা মন্তব্য থাকার কথা নয়।’
খালেদা জিয়া নাও ফিরতে পারেন এমন জনশ্রুতি রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত শনিবার থেকে ফেসবুকে দেখছি, টুইটারে দেখছি তার স্ট্যাটাস, এতো বেশি সময়ের জন্য একটি বড় দলের চেয়ারপারসন বিদেশে যাচ্ছেন, এখন জনশ্রুতি হচ্ছে তিনি কি মামলার ভয়ে পালিয়ে গেলেন, তিনি কি মামলার ভয়ে ফিরে আসবেন না। মামলায় ১৫০ বার আদালতে সময় চাওয়ার পর এই সন্দেহটা ঘনীভূত হচ্ছে, জনগণের মধ্যে এই গুঞ্জনটা শাখা প্রশাখা বিস্তার করছে।’
দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়া নির্বাচনী রোডম্যাপ বা সহায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার মত ওই ওয়ান ইলেভেনের সময় সাহস করে তিনি ফিরে আসবেন কীনা, মামলার ভয়ে সময় আবার বর্ধিত হবে কীনা, ফিরে আসার বিষয় সেটা কেবল সময়ই বলে দেবে।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গাড়ির চালকও নই, গাড়ির মালিকও নই। তারপরও রাস্তায় যখন দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহানি হয়, সেই দায় মন্ত্রী হিসেবে আমি এড়াতে পারি না। আমরা ঢাকা-আরিচা রোডে দুর্ঘটনা অনেকটা কমিয়ে এনেছি। রাস্তার কিছু জায়গা প্রশস্ত করেছি, ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৫ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ঢাকা-মাওয়া রোডে ৩৪ কিলোমিটার রাস্তায় ৪২টি স্পিড ব্রেকার ছিল, সেগুলো দিনে তুলতে পারিনি। রাতে তুলতে গেলেও স্থানীয় মহিলাদের হামলার শিকার হয়েছেন আমাদের কর্মকর্তারা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই গাড়ি ও চালক শাস্তি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুজন মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দু’হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার যে আবেগ, তা পরিহার করতে হবে। কারণ এতে হাজার হাজার গাড়ির লাখ লাখ যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হন। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।