ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার মুক্তির দাবিতে ১৮, ২০ ও ২৫ জুলাই তিন বিভাগীয় শহরে বিএনপির মহাসমাবেশ

জাতীয় ডেস্ক:

কারাবন্দি চিকিৎসাধীন দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীর শহরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই বরিশাল, ২০ জুলাই চট্টগ্রাম ও ২৫ জুলাই খুলনা সমাবেশ করবে দলটি।

 

এরআগে, দেড় ঘণ্টা বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠক লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে যুক্ত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি বিভাগীয় শহগুলোর সমাবেশের তারিখ ঠিক করা হবে।

দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা বেড়েই চলেছে বলে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৮৩ জন নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। যা সমাজে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে আগামীতে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরাসহ কর্মসূচি দেওয়া হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুটি দেশের অর্থনীতি, স্বাধীনতার ওপর বড় রকমের চাপ সৃষ্টি করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার কোনও উদ্যোগ নিতে পারছে না।

রোহিঙ্গা বিষয় আগামীতে সেমিনারের মাধ্যমে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। সারাদেশে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টির পানি ও ভারত থেকে আসা পানির কারণে অনেক এলাকায় ব্যানার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে সারাদেশে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং সিস্টেমটা একেবারে ভেঙে পড়েছে। তিনদিন আগে পিপলস লিজিং ফাইন্যান্স কোম্পানিটিকে আমানতকারীদের ২৩৬ কোটি টাকা ফেরত না দিয়েই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটিকে অবসান করেছে। সেটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমানতকারীরা চরম অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছেন। পুঁজিবাজারের আমানতকারীসহ ব্যাংকিং ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার বিষয়ে ভবিষ্যতে দলীয় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

স্থায়ী কমিটির বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিম রহমান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

খালেদার মুক্তির দাবিতে ১৮, ২০ ও ২৫ জুলাই তিন বিভাগীয় শহরে বিএনপির মহাসমাবেশ

আপডেট সময় ০৭:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

কারাবন্দি চিকিৎসাধীন দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীর শহরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই বরিশাল, ২০ জুলাই চট্টগ্রাম ও ২৫ জুলাই খুলনা সমাবেশ করবে দলটি।

 

এরআগে, দেড় ঘণ্টা বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠক লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে যুক্ত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি বিভাগীয় শহগুলোর সমাবেশের তারিখ ঠিক করা হবে।

দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা বেড়েই চলেছে বলে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৮৩ জন নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। যা সমাজে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে আগামীতে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরাসহ কর্মসূচি দেওয়া হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুটি দেশের অর্থনীতি, স্বাধীনতার ওপর বড় রকমের চাপ সৃষ্টি করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার কোনও উদ্যোগ নিতে পারছে না।

রোহিঙ্গা বিষয় আগামীতে সেমিনারের মাধ্যমে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। সারাদেশে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টির পানি ও ভারত থেকে আসা পানির কারণে অনেক এলাকায় ব্যানার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে সারাদেশে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং সিস্টেমটা একেবারে ভেঙে পড়েছে। তিনদিন আগে পিপলস লিজিং ফাইন্যান্স কোম্পানিটিকে আমানতকারীদের ২৩৬ কোটি টাকা ফেরত না দিয়েই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটিকে অবসান করেছে। সেটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমানতকারীরা চরম অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছেন। পুঁজিবাজারের আমানতকারীসহ ব্যাংকিং ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার বিষয়ে ভবিষ্যতে দলীয় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

স্থায়ী কমিটির বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিম রহমান।