জাতীয় ডেস্কঃ
বিদেশে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ আইনে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে বিচারপতিদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, সেক্ষেত্রে আপনারা দেখেছেন, সবসময় প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক দেখেছেন। আমাদের কথা হচ্ছে, আইনের কোনো ব্যত্যয় যেন না হয়। এবার যখন অনেক আবেদন এসেছে, আইনজীবীদের থেকেও আবেদন এসেছে, সেজন্য সবকিছু ভেবে কিছু করা যায় কি না, আমার মনে হয় এটার একটা সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত আসা সমীচীন। সেজন্য আমরা একটু সময় নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রথম কথা আমি যেটা বলবো, আপনারা যেটা বলছেন যে পড়ে রয়েছে, আসলে এটা পড়ে থাকেনি। কথাটা হচ্ছে, এর আগের দুইবার আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছিল। আইনিভাবেই করা হয়েছিল। এখন অনেক পক্ষ থেকেই আবেদন এসেছে। আইনের কোনো ফাঁক, উপায় আছে কি না? সার্বিক দিক বিবেচনার পরই মনে হয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসা উচিত।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর থেকে বেগম জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানেও সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এমন দাবিতে বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের কড়া নাড়ছে দলটি।
তিনি বহু বছর ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত এপ্রিলে তিনি কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৯ জুন বাসায় ফেরেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি দেয় সরকার। এ পর্যন্ত তিন দফায় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।