ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর

জাতীয় ডেস্কঃ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারের একমাত্র কয়েদী খালেদা জিয়া। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে কারাগারে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেই থেকে কারাবন্দি অবস্থায় আছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, কারামুক্ত হতে ৪টি মামলায় জামিন পেতে হবে। জিয়া অরফানেজ মামলায় হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হলে জামিন আবেদন করবেন তার আইনজীবীরা। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে করা আপিলের জামিন আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লায় হত্যা মামলা ও মানহানির একটি মামলায় তার জামিন হয়নি এখনো।

এসব মামলার ১৬টি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চ আদালতে ১১টির বিচার স্থগিত আছে। আর বাকি ২০টি মামলার কোনোটিতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, কোনোটি তদন্তের পর্যায়ে আছে। গতকালও একটি মামলায় বিশেষ আদালতে হাজির করা হয় বেগম জিয়াকে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় রাজপথ উত্তপ্ত করা। যতদিন পর্যন্ত রাজপথ উত্তপ্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় জেল থেকে বের করা যাবে না। এটি আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

বেগম জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন বলেন, আমরা তো জেলের তালা ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্ধার করতে পারবো না। এতে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। রাজনৈতিক মামলাগুলোতে সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ বের হতে পারেননি।

এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই মামলার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দুদকের করা। কাজেই এই ধরণের মন্তব্য হাস্যকর। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে। মুক্তির জন্য এ মুহূর্তে শুধুমাত্র চারটি মামলায় তার জামিন পেতে হবে।

তবে শুধু এবারই  খালেদা জিয়ার কারাজীবন নয়। এর আগে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে তখন তাকে বেশিদিন আটক থাকতে হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৩৭২ দিন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার স্থাপিত বিশেষ সাব জেলে এক বছরেরও বেশি সময় ছিলেন তিনি।

সর্বশেষ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আগাম তরমুজ

খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর

আপডেট সময় ১০:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারের একমাত্র কয়েদী খালেদা জিয়া। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে কারাগারে প্রেরণ করা হয় তাকে। সেই থেকে কারাবন্দি অবস্থায় আছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, কারামুক্ত হতে ৪টি মামলায় জামিন পেতে হবে। জিয়া অরফানেজ মামলায় হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হলে জামিন আবেদন করবেন তার আইনজীবীরা। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে করা আপিলের জামিন আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লায় হত্যা মামলা ও মানহানির একটি মামলায় তার জামিন হয়নি এখনো।

এসব মামলার ১৬টি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চ আদালতে ১১টির বিচার স্থগিত আছে। আর বাকি ২০টি মামলার কোনোটিতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, কোনোটি তদন্তের পর্যায়ে আছে। গতকালও একটি মামলায় বিশেষ আদালতে হাজির করা হয় বেগম জিয়াকে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় রাজপথ উত্তপ্ত করা। যতদিন পর্যন্ত রাজপথ উত্তপ্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় জেল থেকে বের করা যাবে না। এটি আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

বেগম জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন বলেন, আমরা তো জেলের তালা ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্ধার করতে পারবো না। এতে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। রাজনৈতিক মামলাগুলোতে সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ বের হতে পারেননি।

এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই মামলার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দুদকের করা। কাজেই এই ধরণের মন্তব্য হাস্যকর। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে। মুক্তির জন্য এ মুহূর্তে শুধুমাত্র চারটি মামলায় তার জামিন পেতে হবে।

তবে শুধু এবারই  খালেদা জিয়ার কারাজীবন নয়। এর আগে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে তখন তাকে বেশিদিন আটক থাকতে হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৩৭২ দিন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার স্থাপিত বিশেষ সাব জেলে এক বছরেরও বেশি সময় ছিলেন তিনি।

সর্বশেষ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া।